নিজেদের দেশেই বিমান হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করল পাকিস্তানি বায়ুসেনা। সিএনএন নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী দাবি করে, খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকায় টিটিপির গোপন আস্তানাগুলিতে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এরপরে জানা যায়, সেই হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি তালিবান যোদ্ধাদের একটি কম্পাউন্ডে রাখা বোমা তৈরির সামগ্রী বিস্ফোরণের ফলে জঙ্গি ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জাফর খানকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় দুই পাকিস্তানি তালিবান কমান্ডার আমান গুল ও মাসুদ খান ওই প্রাঙ্গণে গোপন আস্তানা স্থাপন করেছিল। এটি রাস্তার পাশের বোমা তৈরির কারখানা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। জঙ্গিরা বেসামরিক লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ আধিকারিক বলেন, তারা সম্প্রতি অন্যান্য জেলার মসজিদে অস্ত্র মজুদ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে আহত শিশুরা অস্থায়ী বিছানায় শুয়ে আছে এবং স্থানীয়রা ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছে। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। খাইবার পাস এবং খানকি উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত তিরাহ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত।
এদিকে অন্যান্য রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাত দু’টো নাগাদ পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখোয়া এলাকার ওই গ্রামে পরপর আটটি এলএস-৬ বোমা ফেলেছে পাকিস্তানি বায়ুসেনা। জেরে প্রাণ গিয়েছে শিশু, মহিলা-সহ ৩০ জনের। সমাজমাধ্যমেও বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। এর মধ্যে সবথেকে মর্মবিদারক ছবিটি একটি শিশুর। শিশুটির প্রাণহীন দেহ পুরোপুরি ছাইতে মাখামাখি অবস্থায়।