বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ নিউইয়র্কে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ভারত-মার্কিন সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। এই আবহে আজকের এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রুবিও ও জয়শঙ্করের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল জুলাইয়ের শুরুতে। তার আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবার তাঁদের দেখা হয়েছিল ওয়াশিংটনে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের চিড় ধরার পরে এটাই এই দুই নেতার মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এদিকে এইচ১বি ভিসা নিয়েও ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই সব বিষয়ে জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠকে আলোচনা হবে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছে। উভয় দেশের সাম্প্রতিক বিবৃতি অবশ্য ইঙ্গিত করছে যে দুই দেশই তাদের মতপার্থক্য নিরসন করতে এবং সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা চলছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বাণিজ্য আলোচনায় বসেছিল দুই দেশের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই জানিয়েছিল, তাদের আলোচনা ইতিবাচক হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছিল। ট্রাম্প কুকথা বলেই চলেছিলেন। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মোদী নাকি ৪ বার ট্রাম্পের ফোন তোলেননি। এরই মাঝে ট্রাম্প 'সুর বদল' করেন কিছুটা। এরপরই মোদী আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা যত শীঘ্র চূড়ান্ত হবে, তত ভালো।
তার আগে অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ট্রাম্প ভারতের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছিলেন। তাঁর ক্যাবিনেট সদস্য থেকে উপদেষ্টাও তীব্র ভাষায় ভারতকে তোপ দেগেছিলেন এবং মিথ্যাচার করছিলেন। এই আবহে জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এই আবহে ২১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণের জন্য আত্মনির্ভর হতে হবে। সেটার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। যে জিনিসগুলি দেশে তৈরি করা যায়, সেগুলি ভারতেই তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এটাও জানান, শুধু ভারতের পণ্য তৈরি করলেই হবে, সেটিকে বিশ্বের সেরা হতে হবে। যে জিনিসগুলি ভারতের তৈরি করা হবে, তা দুনিয়ার সেরা হতে হবে। দেশে যে পণ্য তৈরি করা হবে, তার গুণগত মান এমন হবে যে পুরো বিশ্বে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। মোদীর কথায়, ‘গর্বের সঙ্গে বলুন, এটা স্বদেশি জিনিস। গর্বের সঙ্গে বলুন, আমি স্বদেশি জিনিস কিনি। গর্বের সঙ্গে বলুন, আমি স্বদেশি জিনিস কিনি। তাহলেই উন্নত হয়ে উঠবে ভারত।’