রঙ্গ দে বসন্তী-তে যেখানে অভিনয় করেছেন সোহা আলি খান, আমির খান, কুনাল কাপুর প্রমুখ। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে একটি। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি একটি এখনও দর্শক মনে সমানভাবে দাগ কাটে। প্রায় দুই দশক পরেও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এটি এমন একটি সিনেমা যা এক এবং অদ্বিতীয়।
তবে, মুক্তির সময় ছবির সাফল্য নিশ্চিত ছিল না। সম্প্রতি Zoom-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সোহা আলি খান ছবিটির প্রাথমিক দিনের অনিশ্চয়তার কথা স্মরণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে নির্মাতারা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটা অনিশ্চিত ছিলেন যে তারা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কিছু পারিশ্রমিক ফেরত চেয়েছিলেন। ‘কেউই ভাবতে পারেনি যে এটি এত টাকা আয় করবে বা মানুষের উপর এত প্রভাব ফেলবে। আসলে, যখন আমরা ছবিটির প্রচার করছিলাম, তখন প্রযোজকরা ফোন করে বলেছিলেন, 'আমাদের দেওয়া কিছু টাকা ফেরত দিতে পারবেন কি? কারণ আমরা নিশ্চিত নই যে এই ছবিটি ভালো ব্যবসা করবে।' আমরা সবাই টাকা ফেরত দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, 'ঠিক আছে, হতেও পারে চলল না।' কিন্তু সেই ছবিটি একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এবং আমার ক্ষেত্রে, এটি আমার কেরিয়ারের একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল, এমন কিছু যা আমার জার্নিতে সবসময়ই বিশেষ স্থান পাবে’, স্মরণ করে সোহা।
ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সোহা বলেছেন, ‘আমরা প্রায় এক বছর ধরে শুটিং করেছিলাম, ভারত ভ্রমণ করে—পঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, মুম্বাই। আমাদের মধ্যে বন্ডিং ছিল দারুণ। আমরা প্রায়ই সেটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতাম কারণ আমাদের সিনেমাটোগ্রাফার বিনোদ প্রধান, যথাযথভাবে, প্রতিটি শটের আলোকসজ্জার জন্য সময় নিতেন। কখনও কখনও অর্ধেক দিন লেগে যেত। তাই আমরা অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল, এবং সেই সময় আমরা ভেবেছিলাম, 'আমরা চিরকাল বন্ধু থাকব।'’
সাম্প্রতিক সময়ে, সোহা ‘ছোড়ি ২’ ছবিতে অভিনয় করেছেন, যা বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত একটি হরর থ্রিলার, যেখানে নুসরত বারুচা, গাশ্মীর মহাজানী এবং জিতেন্দ্র কুমারও অভিনয় করেছেন। Amazon Prime Video-তে স্ট্রিমিং হওয়া এই ছবিটি ‘ছোড়ি’র সিক্যুয়েল এবং ২০১৭ সালের মারাঠি ছবি ‘লাপাচ্ছাপি’র অভিযোজন। ২০০৮ সালে ‘সাহেব বিবি অর গ্যাংস্টার ৩’ ছবিতে অভিনয় করার পর সাত বছরের বিরতির পর ‘ছোড়ি’ ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে ফিরে এসেছেন সোহা।