দু'দিনের সফরে মরক্কো পৌঁছলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর সেখানেই তিনি আজ মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক দ্বন্দ্ব নিয়ে। রাজনাথ আজ বললেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ভারতীয় আমদানির উপর ৫০% শুল্ক বসালেও ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু কেন? রাজনাথ বলেন, 'আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাইনি... যাঁরা উদার মনের এবং উদার হৃদয়ের মানুষ, তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান না।'
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছে। উভয় দেশের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে অবশ্য ইঙ্গিত মিলেছে যে দুই দেশই তাদের মতপার্থক্য নিরসন করতে এবং সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বাণিজ্য আলোচনায় বসেছিল দুই দেশের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষই জানিয়েছিল, তাদের আলোচনা ইতিবাচক হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছিল। ট্রাম্প কুকথা বলেই চলেছিলেন। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মোদী নাকি ৪ বার ট্রাম্পের ফোন তোলেননি। এরই মাঝে ট্রাম্প 'সুর বদল' করেন কিছুটা। এরপরই মোদী আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা যত শীঘ্র চূড়ান্ত হবে, তত ভালো।
তার আগে অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ট্রাম্প ভারতের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছিলেন। তাঁর ক্যাবিনেট সদস্য থেকে উপদেষ্টাও তীব্র ভাষায় ভারতকে তোপ দেগেছিলেন এবং মিথ্যাচার করছিলেন। এই আবহে আজ জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এই আবহে ২১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণের জন্য আত্মনির্ভর হতে হবে। সেটার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। যে জিনিসগুলি দেশে তৈরি করা যায়, সেগুলি ভারতেই তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এটাও জানান, শুধু ভারতের পণ্য তৈরি করলেই হবে, সেটিকে বিশ্বের সেরা হতে হবে। যে জিনিসগুলি ভারতের তৈরি করা হবে, তা দুনিয়ার সেরা হতে হবে। দেশে যে পণ্য তৈরি করা হবে, তার গুণগত মান এমন হবে যে পুরো বিশ্বে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। মোদীর কথায়, ‘গর্বের সঙ্গে বলুন, এটা স্বদেশি জিনিস। গর্বের সঙ্গে বলুন, আমি স্বদেশি জিনিস কিনি। গর্বের সঙ্গে বলুন, আমি স্বদেশি জিনিস কিনি। তাহলেই উন্নত হয়ে উঠবে ভারত।’