বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Turkey earthquake: হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছিলেন লোকেশন, উদ্ধার হল ভূমিকম্পে আটকে পড়া যুবক
পরবর্তী খবর
Turkey earthquake: হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছিলেন লোকেশন, উদ্ধার হল ভূমিকম্পে আটকে পড়া যুবক
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 10 Feb 2023, 11:14 AM ISTMD Aslam Hossain
তুরস্কে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয় সোমবার সকালে। তখন ওই অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে ছিলেন তাঁরা। তবে সেই সময় ভূমিকম্পের ফলে অ্যাপার্টমেন্টটি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফলে বোরান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে গেলেও পরে আবার তাঁরা আপ্যার্টমেন্টে প্রবেশ করে।
তুরস্কে ভূমিকম্পে আটকে পড়া সেই যুবক।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছিলেন এক পড়ুয়া। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো একটি ভিডিয়ো প্রাণ বাঁচাল ওই ছাত্রের। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই ছাত্র একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন, যেখানে তিনি নিজের অবস্থান সম্পর্কে বর্ণনা করেছিলেন। সেই ভিডিয়োটি পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকারীরা তাঁকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেন। ওই ছাত্রের নাম বোরান কুবাত। তাঁর সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে নিচে আটকে ছিলেন তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদেরকেও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
তুরস্কে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয় সোমবার সকালে। তখন ওই অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে ছিলেন তাঁরা। ভূমিকম্পের ফলে অ্যাপার্টমেন্টটি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বোরান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে গেলেও পরে আবার তাঁরা আপ্যার্টমেন্টে প্রবেশ করে। এরপর বিকেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৫। তখনই ওই আপ্যার্টমেন্টটি ভেঙে পড়ে। তারপর থেকেই মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপে আটকে ছিলেন বোরান। কিন্তু কোনও উদ্ধারকারীদের দেখতে না পেয়ে শেষে বুদ্ধি খাটিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের অবস্থান সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দিয়ে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে উদ্ধারের আরজি জানান। ভিডিয়োতে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ এই হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখেন, দয়া করে এসে সাহায্য করুন। অনুগ্রহ করে সবাই এসে এখনই আমাদের উদ্ধার করুন।’
এরপর ওই যুবকের ভিডিয়ো বর্ণনা দেখে উদ্ধারকারীরা পরিবারটিকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। আহত হাজার হাজার। এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপে। এখনও সেখানে উদ্ধারকার্য চলছে। প্রাথমের দিকে তুষার ঝড়ের কারণে উদ্ধারকার্য ব্যহত হয়। পরে আবার শুরু হয় উদ্ধারকার্য। প্রসঙ্গত, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমে হওয়া ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বিপর্যয়। আহত প্রায় ৭২ হাজার। এছাড়াও হাজার হাজার গৃহহীন মানুষ। ঠান্ডা ও খিদেয় অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই সিরিয়ায় আসছেন হু’র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ থেকে যাঁদের বের করে আনা হচ্ছে তাঁদের প্রায় সকলেই মৃত।