দক্ষিণ ভারতে সাংঘাতিক কাণ্ড। টানা দু’বছর ধরে ১৬ বছরের এক কিশোরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক রাজনীতিক, দুই সরকারি কর্মচারী এবং এক ফুটবল কোচও রয়েছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলুস্থূল পড়ে সে রাজ্যে।
জানা গেছে, সমকামীদের জন্য একটি ডেটিং অ্যাপে ধৃতদের সঙ্গে ওই কিশোরের পরিচয় হয়েছিল। এনডিটিভিকে কাসারগড় পুলিশের প্রধান বিজয়া ভারত রেড্ডি বলেন, দশম শ্রেণির ওই ছাত্র দু’বছর আগে ওই অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করে। তাই মনে করা হচ্ছে যে, দু’বছর ধরে কাসারগোড়, কান্নুর, কোঝিকোড় এবং এর্নাকুলামে ১৪ জন পুরুষ তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছে।কখনও কিশোরের বাড়িতে গিয়ে, আবার কখনও অন্য কোথাও ডেকে তাঁর উপর নির্যাতন করা হত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এতদিন কিছু জানতেন না বলে দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ওই কিশোরের মা তাদের বাড়িতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দেখে ফেলেন। তাকে দেখার পরেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। বিষয়টি নজরে আসতে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর তিনি কিশোরকে জিজ্ঞাসা করলে, সে সব ঘটনা খুলে বলে। নির্যাতিত কিশোরের মা এই তথ্য চাইল্ড লাইনকে জানান, পরে তারা তা পুলিশকে অবহিত করে। ওই কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনের অধীনে ১৪টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই দিনে কিশোরের দেওয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাগুলি ২০১২ সালের পকসো আইন অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ডেপুটি সুপার ও চারজন ইন্সপেক্টর। এই দল কাসারগড় জেলার আটটি মামলার তদন্ত করবে। বাকি ছয়টি মামলা স্থানান্তরিত করা হয়েছে কান্নুর এবং কোঝিকোড় জেলায়, যেখানে নির্যাতিত কিশোর যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বয়স ২৫ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে এবং একজন রেলওয়ের কর্মচারীও রয়েছেন। পুলিশ ওই অ্যাপটি খতিয়ে দেখছে।