লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পিছিয়ে পড়েছিল মহাবিকাশ অঘাড়ি জোটের থেকে। কয়েক মাস আগের সেই 'হার'থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল গেরুয়া শিবির? এর নেপথ্যে অনকেটাই বড় ভূমিকা রয়েছে আরএসএস-এর। মহারাষ্ট্রে বিগত কয়েক বছরে দু'টো দল ভাঙিয়েছে বিজেপি। শিবসেনা, এনসিপি ভেঙেছে। একটি অংশ হাত মিলিয়েছে বিজেপির সঙ্গে। অপরদিকে শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এই 'রাজনৈতিক খিচুড়ি' রান্না করতে গিয়ে লোকসভায় আগের জেতা আসনও হারিয়েছে বিজেপি। সেখান থেকে বিজেপিকে 'পথে' ফিরিয়েছে আরএসএস। (আরও পড়ুন: WB Bypoll Result: ৬-০ তৃণমূলের, 'উপনির্বাচনে এমনই ফলাফল হয়', বললেন সুকান্ত)
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে কি 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ' ইস্যুই হারাল দলকে? কী বললেন BJP রাজ্য সভাপতি
সূত্রের দাবি, এবারে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে বুথ ম্যানেজমেন্টও করেছিল আরএসএস। তার আগে দরজায় দরজায় গিয়ে বিজেপির হয়েও প্রচার করেছিলেন আরএসএস স্বয়ংসেবকরা। উল্লেখ্য, আরএসএস-এর সদর দফতর বিদর্ভ অঞ্চলের নাগপুরে। সেই বিদর্ভ অঞ্চলে বিজেপি এবং একনাথের শিবসেনার দাপট দেখা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে পিছিয়ে পড়তেই বিস্ফোরক উদ্ধবের দলের নেতা, আদানিকে তুললেন কাঠগড়ায়)
আরও পড়ুন: Jharkhand Election Result: ঝাড়খণ্ডে ফিরছে হেমন্ত? অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে BJP
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এবারের ভোটে যাতে ১০০ শতাংশ বিজেপি সমর্থকরা ভোট দেন, তা নিশ্চিত করতে পথ নেমেছিল আরএসএস। এমনকী ভিনরাজ্য থেকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয় ভোটারদর। এর জন্যে বহু সংখ্যক বাসের আয়োজন করা হয় হায়দরাবাদ, পুণে, বেঙ্গালুরু থেকে। সেখানে বিনামূল্যে খাবারের প্যাকেটও দেওয়া হয়। এদিকে শুধু আরএসএস নিজে নয়, বজরং দল সহ সংঘের অনুমোদিত ৩৭ টি সংগঠন বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিল এবারের ভোটে। এদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের স্কিমের প্রচারে স্বয়ং সেবিকা সমিতিও ময়দানে নেমেছিল। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র ভোটের জন্য সেই জুলাই থেকেই বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিল আরএসএস। বিজেপির প্রচারে আরএসএসের তরফে সম্পর্ক রক্ষার্থে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল অতুল লিমায়েকে। এদিকে আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি রাজ্য জুড়ে ৭০টিরও বেশি জনসভা করেছিলেন। (আরও পড়ুন: Bypoll Result LIVE: এগিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, UP উপনির্বাচনে যোগীর মুখে হাসি)