মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনর ভোট গণনা শুরু হতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ল মহাবিকাশ অঘাড়ি জোট। তবে এই প্রবণতা সামনে আসতেই বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয় রাউতের। মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২২০টির মতো আসনে এগিয়ে বিজেপি, শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি জোট। এই আবহে উদ্ধবপন্থী শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বললেন, এটি জনগণের সিদ্ধান্ত নয়। কিছু ভুল হয়েছে। মহাযুতি পুরো রাষ্ট্রতন্ত্র দখল করেছে। এ রাজ্যের মানুষ অসৎ নয়। কীভাবে শিন্ডের সব প্রার্থী জয়ী হতে পারেন? (আরও পড়ুন: WB Bypoll Result: ৬-০ হচ্ছে বাংলায়, কোন আসনে কত ভোটে এগিয়ে তৃণমূল?)
আরও পড়ুন: Jharkhand Election Result: ঝাড়খণ্ডে ফিরছে হেমন্ত? অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে BJP
সঞ্জয় রাউত বলেন, 'দু'দিন আগেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ২০০০ কোটির ঘুষের অভিযোগ ওঠে। সেই খবরকে ধামাচাপা দিতে অনেক আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই রাজ্যকে আদানিরাষ্ট্র হতে দেব না। এটা মানুষের জনমত হতে পারে না। এই ফলাফল মেনে নিতে আমরা রাজি নই।' সঞ্জয় রাউত বলেন, 'এই ধরনের ফল মহারাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মহারাষ্ট্রের জনগণের অনুভূতি জানি। এটা ঘটতে পারে না।' লাডকি বেহান স্কিম সম্পর্কিত প্রশ্নে রাউত বলেন, 'এখানে প্রিয় ভাই, প্রিয় দাদারা আছেন। এখানে সবকিছু সুন্দর। আমরা জানি এখানে কী হচ্ছে, এই যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জনগণের নয়।' (আরও পড়ুন: Bypoll Result LIVE: এগিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, UP উপনির্বাচনে যোগীর মুখে হাসি)
তিনি বলেন, কীভাবে শিন্ডের সব প্রার্থী জয়ী হচ্ছেন। রাউত বলেছিলেন, '২০১৪ এবং ২০১৯ সালের দুটি লোকসভা নির্বাচনে মোদী এবং শাহ বলেছিলেন যে কংগ্রেস যেন বিরোধী দলের নেতা না পায়। এবারও তারা মহারাষ্ট্রে একই কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা চায়, এখানে যেন কোনও বিরোধী নেতা থাকবে না। এটা বরাবরই বিজেপির কৌশল।'
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত তা খবর, তাতে মহারাষ্ট্রে বিজেপি এগিয়ে আছে ১২৭টি আসনে। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এগিয়ে ৫৪টি আসনে। এদিকে অজিত পাওয়ারের এনসিপি এগিয়ে ৩৫টি আসনে। অপরদিকে বিরোধী জোটের কংগ্রেস এগিয়ে ২০টি আসনে। উদ্ধবর শিবসেনা এগিয়ে ১৮টি আসনে। আর শরদ পাওয়ারের এনসিপি এগিয়ে ১৩টি আসনে। এছাড়া সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে ২টি আসনে। এদিকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম এগিয়ে ২টি আসনে।