রজমানের আগেই ফের রক্ত ঝরল পাকিস্তানে। শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের। গুরুতর জখম আরও অন্তত ১২ জনের মতো। জানা গিয়েছে, যে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘনাটি ঘটে, সেটি তালিবানপন্থী হাক্কানিয়াদের। জানা গিয়েছে, খাইবার প্রদেশের আক্কোরা খট্টক এলাকায় এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। উল্লেখ্য, পাশের পঞ্জাব প্রদেশের লাহোরেই আজ মাঠে নেমেছে আফগান ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা। এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত পাকিস্তানে যায়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে। তবে পাকিস্তান বড় গলায় দাবি করেছিল, তাদের দেশে সব ঠিক আছে। (আরও পড়ুন: ইউনুসের ব্যর্থতা উসকে বিতর্কের আগুন জ্বালেন সেনা প্রধান, তাতে ঘি ঢাললেন উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: কাজের সময় ঘুমিয়ে পড়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন, সেই সরকারি কর্মীর পক্ষে রায় হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড
উল্লেখ্য, ১৯ ফেব্রুয়ারি , বুধবার শুরু হয় চ্যাম্পিন্স ট্রফি। বহু বছর পর ফের পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হল কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা। করাচিতে প্রথম ম্যাচের প্রথম বল গড়ানোর আগের দিনই সিন্ধের পার্শ্ববর্তী বালোচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ এক জঙ্গি হামলা ঘটে গিয়েছিল। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর দিনও জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র দ্য ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদিন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ গিয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। জানা যায়, এক পোলিও টিমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বন্দুকবাজরা দু'টি বাইকে করে ঘটনাস্থলে এসে এই কাণ্ড ঘটিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়। (আরও পড়ুন: তুষারধসে আটকে পড়লেন BRO-র ৫৭ শ্রমিক, উদ্ধারকাজে নামল সেনা এবং ITBP)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন দলের নাম চূড়ান্ত, মাথায় সেই নাহিদ, সারজিস-হাসনাতরা কোন পদে?
এদিকে এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বালোচিস্তানে এক জঙ্গি হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল করাচিতে। সেটি সিন্ধ প্রদেশে অবস্থিত। তার পাশেই আছে বালোচিস্তান। সেই প্রদেশে ১৮ তারিখ রাতে বারখান জেলায় একটি বাস থামিয়ে ৭ জন পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দাকে খুন করে বিচ্ছিনতাবাদীরা। বাসটি ফয়সলাবাদ থেকে কোয়েট্টা যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, হাইওয়েতে বাসের চাকায় গুলি করে সেটিকে থামায় বন্দুকবাজরা। সেই বাসে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ৭ জন পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দাকে চিহ্নিত করে জঙ্গিরা। এরপর তাঁদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে খুন করে তারা। ১০ মিনিটের মধ্যে সব ঘটিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। সেই ঘটনাতেও কোনও দুষ্কৃতী আটক হয়নি। এদিকে এই হামলার দায় কেউ নেয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে বালোচ স্বাধীনতাকামীরা এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।