বেঙ্গালুরুর পুনরাবৃত্তি এবার মধ্যপ্রদেশে। লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বেকার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার মৃতদেহের পাশে ২ দিন ঘুমিয়েছেনও বলে অভিযোগ। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বাজারিয়ার কারারিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ফের হুমকি ইলন মাস্কের, জবাবে টেসলা কর্তাকে 'ডিপোর্ট' করার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ফের ধর্ষণের জন্যে ভিডিয়ো করতে বলা হয়, কসবা কাণ্ডে 'দাদার কীর্তি' ফাঁস
আরও পড়ুন: বাংলা সহ ১২ রাজ্যের সভাপতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল BJP? অঙ্ক কষে কী ঠিক করল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার রাতে ঋতিকা সেন (২৯)-কে খুন করেন তাঁর প্রেমিক সচিন রাজপুত। ঋতিকা সেন বাজারিয়ার চাঁদবাদের খুশিপুরার বাসিন্দা। ৩২ বছর বয়সি সচিন বিদিশা জেলার সিরোঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ৯ মাস ধরে তাঁরা বাজারিয়ার গায়ত্রী নগরের করারিয়া ফার্মে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, গত ২৭ জুন ঋতিকা ও সচিনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। সেই সময়ে ভাড়া নেওয়া ঘরেই সচিন ঋতিকাকে খুন করেন। খুনের পর প্রেমিকার দেহ চাদরে মুড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরের মধ্যে রেখে দেন সচিন। তারপরে ২ দিন ওই মৃতদেহের পাশেই ঘুমিয়েছেন সচিন।করেছিলেন মদ্যপানও। (আরও পড়ুন: গলা শুকিয়ে কাঠ, তাও সিন্ধু চুক্তি নিয়ে লাফালাফি, ভারতকে নয়া বার্তা পাকিস্তানের)
আরও পড়ুন-সরকারি অফিসারকে প্রকাশ্যে মারধর-লাথি! ভিডিও ভাইরাল হতেই হুলুস্থল ওড়িশায়
আরও পড়ুন: চিনে পালাবদলের সম্ভাবনা! শি জিনপিংয়ের বদলে গদিতে বসতে পারেন কে?
এনডিটিভি-কে বাজারিয়ার পুলিশ অফিসার শিল্পা কৌরব জানিয়েছেন, গত রবিবার রাতে সচিন মিসরোদ এলাকায় তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। মদ খেতে গিয়ে সচিন ঋতিকাকে খুনের কথা তাঁর বন্ধুকে বলেন। বন্ধু প্রথমে ভেবেছিলেন, সচিন নেশার ঘোরে ভুলভাল কথা বলছেন। তাই তিনি সচিনের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু সচিন ফের সোমবার সকালে ঋতিকাকে খুনের কথা তাঁকে বলেন। কিন্তু তখন তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না।এরপর সচিনের ওই বন্ধু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিস্তারিত জানান। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চিনের সঙ্গে 'জোট', ভারতকে উস্কানি পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: ক'দিন আগে ট্রাম্পকে কথা শুনিয়েছিলেন মোদী, ২ নেতার সম্পর্ক এখন কেমন? মুখ খুলল USA
খুনের খবর পেয়েই পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ঋতিকার দেহ উদ্ধার করে এবং সচিনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ প্রাথমিক জেরায় জানতে পেরেছে, সচিন ১০ দিন আগে চাকরি হারিয়েছেন। তিনি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি সন্দেহ করতেন, ঋতিকা অন্য কারওর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। সেই কারণেই খুন কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। তদন্ত জারি রয়েছে।