সিকিমে ভয়াবহ ধস। ধসে মৃত্যু হয়েছে তিন সেনা জওয়ানের। আরও ৬ জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। এদিকে ধসের জেরে পর্যটকরা আটকে পড়েছিলেন। তবে আশার কথা একটাই, সোমবার সকাল থেকে ধাপে ধাপে তাদের ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে বৃষ্টি কিছুটা ধরে আসতেই ওই পর্যটকদের ধাপে ধাপে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একাধিট ট্যুর এজেন্সি, স্থানীয় গাড়ি চালকদের সংস্থা, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ ফোর্স, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, বন দফতর, ভারতীয় সেনা, সিকিম পুলিশ, প্রশাসন সহ বিভিন্ন এজেন্সি পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। আর কোথাও পর্যটকরা আটকে রয়েছেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
একটানা বৃষ্টি। তার সঙ্গেই একের পর এক ধস। লাচেন ও লাচুং কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেড় হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছিল সেখানে। টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি কিছুটা ধরে আসে। এরপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
এদিকে লাচেন থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। তার মূল কারণ একের পর এক ধস ও আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতি। সিকিমের ছাতেন এলাকায় ধস নেমেছিল। সেখানেই ছিল সেনা ঘাঁটি। আর সেই ধসের জেরেই প্রাণ গিয়েছে তিন সেনা জওয়ানের। রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই ধস নেমেছিল।