কেরলে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী ও বন্ধুকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেরলের কালানজুর গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২-র বৈজু নামে ওই ব্যক্তি রাত ১১টা নাগাদ তার স্ত্রী বৈষ্ণবীকে তাঁর বন্ধু বিষ্ণুর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে নিয়ে যায়।এরপর সে সেই অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে। স্ত্রীকে খুন করার পর বন্ধু বিষ্ণুকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বৈজু। যার জেরে গুরুতর আহত হয় বিষ্ণু। কিন্তু ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৈষ্ণবীর। অন্যদিকে, ওই বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।এরপরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। (আরও পড়ুন: ‘মোটা’ রোহিত শর্মাকে ‘বিমার’ কংগ্রেস নেত্রীর, ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকাতে চাইছে BJP)
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত বিষ্ণুকে উদ্ধার করে পাঠানমথিত্তা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বৈজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বৈজু বন্ধুদের ফোন করে তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করে। এরপরেই বন্ধুরা পুলিশে খবর দেয়। তারপরে গ্রেফতার করা হয় বৈজুকে।অভিযক্ত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই’, মেনে নিলেন ইউনুস, উল্লেখ মোদীর)
আরও পড়ুন: ব্রাত্য বসুর গাড়িতে চাপা পড়েনি ইন্দ্রানুজ, ছবি এঁকে 'যুক্তি' দিলেন দেবাংশু
অন্যদিকে কেরলে পর পর খুনের ঘটনায় উদ্বিগ বাসিন্দারা। গত সোমবারই সন্ধে নাগাদ হঠাৎ থানায় পৌঁছন তিরুঅনন্তপুরমের বছর তেইশের আফান। ওই যুবক পুলিশকে জানায়, ভাই-ঠাকুমা-কাকিমা-কাকু-প্রেমিকাকে খুন করেছে। রেয়াত করেনি ক্যানসারে আক্রান্ত মা-কেও। এক জায়গায় নয়, তিনটি আলাদা-আলাদা জায়গায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সে। তড়িঘড়ি সেই তিন জায়গায় পৌঁছয় তদন্তকারীদের দল। সেখানে যেতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তবে পরে পাঁচটি মৃত্যুর তথ্যই নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত তরুণ ধারালো অস্ত্র এবং হাতুড়ি দিয়ে মাকে খুনের চেষ্টা করেন। তবে তাতে সফল হননি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, আফানের বাবা কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকেন। বেশ কিছু দিন ধরেই আফানদের পরিবারে আর্থিক সমস্যা চলছিল। অন্তত ১৪ জনের কাছ থেকে মোট ৬৫ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন আফান। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও ঋণ শোধ করতে না-পারায় পাওনাদারেরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। তাই মা এবং ভাইকে নিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন মা। তখনই মা এবং ভাইকে খুনের পরিকল্পনা করেন ওই যুবক। ভাইকে খুনের পর মাকেও আক্রমণ করেন তিনি। তারপর ঠাকুমা, কাকা, কাকিমা এবং সবশেষে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে তাঁকেও খুন করেন তিনি।