যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের বের করে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার এবং সেদেশে অবস্থিত দূতাবাস। সঙ্গে ইউক্রেনে পড়শি দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসও কাজ করে চলেছে ভারতীয়দের ফেরাতে। তবুও সেদেশে এখনও কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আটকে রয়েছেন। এই আবহে এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে উড়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের চার হেভিওয়েট মন্ত্রী। সেই দেশগুলি থেকে ইউক্রেন সীমান্তে গিয়ে তাঁরা উদ্ধারকাজের তদারকি করবেন।
আজ সকালে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠক চলে প্রায় ২ ঘণ্টা। সেই বৈঠকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি হাঙ্গেরি যাবেন, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রোমানিয়া এবং মলদোভা থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজের তদারকি করবেন, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু স্লোভেনিয়া এবং সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভিকে সিং পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে অপারেশন গঙ্গা পরিচালনা করবেন।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি স্পাইসজেট, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সও এবার ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর অভিযানে যুক্ত হল। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়, ইন্ডিগো ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এ৩২১ বিমান ব্যবহার করে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এই ফ্লাইটগুলি দিল্লি থেকে রোমানিয়ার বুখারেস্ট এবং হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট হয়ে ইস্তানবুল হয়ে দেশে ফিরছে। ভারত সরকারের অপারেশনগঙ্গা মিশনের অংশ হিসাবে এই বিমানগুলি পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে স্পাইসজেটও হাঙ্গেরি থেকে বিশেষ বিমান পরিচালনা করবে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য।
উল্লেখ্য, কয়েক হাজার ভারতীয় ইউক্রেনে আটকে৷ এর মধ্যে বাংলার শতাধিক নাগরিকও রয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই বাজে, যে অনেকের কাছেই কোনও খাবারও নেই। তাদের যদিও সব ধরনের সাহায্য করার চেষ্টা করছে ভারতীয় দূতাবাস। এই আবহে আটকে পড়া পড়ুয়ারা যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও দিনরাত প্রার্থনা করছেন যাতে তাঁদের ঘরের ছেলে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসেন। তাঁদের দেশে ফেরানোর সবরকম চেষ্টা করছে ভারত সরকার৷ পোল্যান্ড, রোমানিয়া ছাড়াও স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি সীমান্তেও বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন ভারতীয়দের সাহায্যের জন্য৷ এবার প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদেরও পাঠাচ্ছেন ইউক্রেন সীমান্তে৷