জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে আটক ৫ নেতাকে মুক্তি দিল প্রশাসন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মদ্যে রয়েছেন এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তিন জন প্রাক্তন বিধায়ক।১৪৭ দিন বন্দি থাকার পরে সোমবার মুক্তি পেলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ইশফাক জব্বর ও গুলাম নবি, পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য জহুর মির ও বশির আহমেদ মির। তাঁরা দুজনেই পিডিপি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।এঁরা ছাড়া এ দিন মুক্তি পেয়েছেন বান্দিপোরার বাসিন্দা ইয়াসির রেশি, যিনি পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিধানসভায় বিধায়ক ছিলেন।এঁদের সবাইকে শ্রীনগরের বিধায়কদের হস্টেলে বন্দি রাখা হয়েছিল।গত ৫ অগস্ট সংসদে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রতাহারের পরে উপত্যকার বেশ কয়েক জন রাজনীতিককে নিরাপত্তার স্বার্থে বনু্দি করে প্রশাসন। এঁদের মধ্যে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী- এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, এবং পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন কূটনীতিক অধুনা রাজনীতিক সাহ ফয়জল, এনসি চেয়ারম্যান সাজাদ লোন এবং এনসি নেতা আলি এম সাগর এখনও মুক্তি পাননি।সরকারি সূত্রে খবর, উপত্যকায় শান্তি ফিরে আসার পরে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে অন্য নেতারাও মুক্তি পাবেন।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্দে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে তাঁর গুপকার এলাকার বাসভবনকে বিকল্প কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাঁর ছেলে তথা এনসি সহ-সভাপতিকে আটক রাখা হয়েছে হরি নিবাসে। চেশমা শাহির এক কটেজে বন্দি রয়েছেন মেহবুবা মুফতি।