‘আমি প্রার্থনা করব যে ওর আত্মা যেন চিরশান্তিতে ঘুমায়। ও একটা ভালো জীবন কাটিয়েছে। ও আমাদের খুব গর্বিত করে তুলেছিল। ও যে গৌরব অর্জন করেছিল, সেটা প্রতিটি ক্ষেত্রে ধরে রাখতে হবে আমাদের।’
কান্না মেশানো গলায় আর্তনাদ করতে করতে সেই কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী। আর কথাগুলো শেষ হতেই ভারতীয় পতাকায় জড়ানো কফিনের উপরে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নববধূ। গত ৬ এপ্রিলই তাঁদের বাগদান হয়েছিল। ১০ দিন পরে ১৬ এপ্রিল ধুমধাম করে উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। আর হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে।
স্বপ্নের কাশ্মীর সফর পরিণত হয়েছে বিভীষিকায়
সেই স্বপ্নের সফরই যে এরকম বিভীষিকায় পরিণত হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি হিমাংশী। মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় নৌসেনার অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলার পরে প্রাথমিকভাবে যে ছবি পুরো ভারতকে কাঁদিয়ে দিয়েছে, তাতে নৌসেনার অফিসারের প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। আর পাশে বসেছিলেন হিমানী।
যেন সত্যি না হয়….প্রার্থনা করছিল পরিবার
আর সেই ভয়ংকর ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই ভারতীয় নৌসেনার অফিসার এবং হিমাংশীর পরিবারে যে সামান্য আশার আলোটুকু ছিল, সেটাও শেষ হয়ে যায়। হিমাংশীর মামি ববিতা বলেন, ‘হিমাংশী ভাই লক্ষ্মিতকে ফোন করে জানিয়েছিল যে বিনয়কে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। আমরা তাও আশা করছিলাম যে ওই খবরটা সত্যি নয়। কিন্তু (কিছুক্ষণ পরেই) সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে ওদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল।’
তারপরই ভারতীয় নৌসেনার অফিসার নরওয়ালের বাবার সঙ্গে পহেলগাঁওয়ে যান হিমাংশীর বাবা-মা। তারপর বুধবার দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় নৌসেনার অফিসার নরওয়ালের মরদেহ। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা-সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: Rajnath Singh: শীঘ্রই পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, কাউকে রেহাই নয়, হুংকার রাজনাথের