মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ প্রাথমিক শুল্ক আরোপ করেন। তারপর রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য জরিমানা হিসেবে ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।বুধবার থেকেই ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জিএসটির কাঠামো। যার উপর ভর করেই ট্রাম্পের 'শুল্ক বোমা' সামলে দেবে ভারত। এমনটাই মনে করছে বিশ্লেষক মহল।
আরও পড়ুন-ভোটের আগেই দৌড় করাল গ্রামবাসীরা! বিহারে মন্ত্রীর উপর প্রাণঘাতী হামলা, আহত দেহরক্ষী
ফিচ সলিউশন সংস্থা বিএমআই জানিয়েছে, 'অতিরিক্ত মার্কিন শুল্ক কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেললেও চলতি দশকের শেষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬ শতাংশের উপরে। যদিও ২০১০-২০১৯ দশকে এই হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। তারপরেই কোভিড অতিমারীর ধাক্কা নেমে আসে অর্থনীতিতে। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলেও এশিয়ার বাজারগুলির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নতি করা দেশের নাম ভারত। আগামী পাঁচ বছরে বাড়বে ভারতের জিডিপিও।' সংস্থার আরও দাবি, 'আমাদের আগের সমীক্ষাগুলিতে অনুমান করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ফলে চলতি অর্থবর্ষ এবং আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও ০.২ শতাংশ নিম্নমুখী হবে। কিন্তু সেই পূর্বাভাস সংশোধন করার দরকার আছে। ভারতের অর্থনীতি এই দুই অর্থবর্ষে যথাক্রমে ৫.৮ শতাংশ এবং ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।' জিএসটি সংস্কার নিয়ে বিএমআই বলেছে, 'নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যদি বিবেচনা করা যায় তাহলে দেখা যাবে, জিএসটি সংশোধনীর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা কমাতে পারে।সংস্থা আরও জানিয়েছে, 'যেহেতু বিশদ বিবরণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, তাই আমরা জিএসটি সংস্কারকে আপাতত আমাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের জন্য সামান্য উল্টো ঝুঁকি হিসেবে তুলে ধরছি।'
আরও পড়ুন-ভোটের আগেই দৌড় করাল গ্রামবাসীরা! বিহারে মন্ত্রীর উপর প্রাণঘাতী হামলা, আহত দেহরক্ষী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লা থেকে ভাষণে জিএসটি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেন। দীপাবলির আগে তা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। যা দেশবাসীর জন্য দিপাবলীর উপহার হতে চলেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশবাসীকে দীপাবলির উপহার হিসেবে তার আগেই পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার শুরু করব আমরা ৷ প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে পণ্যের উপর করের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে ৷' তিনি আরও বলেন, 'এই পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে ৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে যাওযায় দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে ৷' এরই মধ্যে আগামী সপ্তাহে জিএসটি কাউন্সিলের সভা রয়েছে। তার আগে জিএসটি স্ল্যাবের পরিবর্তন নিয়ে বড় আপডেট এসেছে।এই আপডেট অনুসারে, বৈঠকে সরকার 'জিরো' জিএসটি স্ল্যাবের পরিধি বাড়াতে পারে। এতে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যা এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটির আওতায় আসে।