বাড়িতে থরে থরে সাজানো ৫০০ টাকার বান্ডিল। ঘরেই যে কোটি কোটি টাকা লুকানো ছিল, কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। জয়পুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ ডিরেক্টরের বাড়িতে টাকার পাহাড় দেখে চোখ কপালে উঠল আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন-আবাসনে স্বজনপোষণ! তোপের মুখে MP-দের জন্য বহুতল ফ্ল্যাট মোদীর, সেখানে কী রয়েছে?
জয়পুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ ডিরেক্টর সন্দীপ বকসীর বাড়ি ও অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সেই তল্লাশিতেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই কালো টাকা বাড়ির নীচে বেসমেন্টেই লুকানো ছিল। হিসাব বহির্ভূত আয়ের সন্দেহেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে আয়কর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা অর্ধেক টাকা। অনেক কোটি টাকা আগেই পাচার হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ বকসী অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিভিন্ন আমলাদের সঙ্গে ওঠাবসা তাঁর। জয়পুরে একাধিক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ খুলেছেন তিনি। অভিযোগ, কিছু কর্তব্যরত ও প্রাক্তন আমলা সন্দীপ বকসীর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিপুল পরিমাণ টাকা ঢেলেছেন।
আরও পড়ুন-আবাসনে স্বজনপোষণ! তোপের মুখে MP-দের জন্য বহুতল ফ্ল্যাট মোদীর, সেখানে কী রয়েছে?
তবে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি, ডোনেশন ও বিপুল পরিমাণ নগদ লেনদেনের হদিস পাওয়ার পরেই তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতর। এর আগে গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।এদিন তল্লাশি অভিযান চলার আগেই গ্রুপ ডিরেক্টররা ১৫টি ব্যাগ ভর্তি নগদ অর্থ গায়েব করে ফেলতে সক্ষম হন বলেই দাবি। ৩টি বড় গাড়িতে করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছিল। সেই টাকা ব্যাগে ভরে মাটির নিচে ফেলে দিয়েছিল। সিসিটিভিতে নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে কর্মীদের। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে আয়কর কর্মকর্তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেছেন।সেই তদন্তের ভিত্তিতেই আয়কর বিভাগ এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। আউআরএস অফিসার সিদ্ধার্থ গুপ্ত এই তদন্ত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।