সম্প্রতি রাজ্যসভার হাউস কমিটি বৈঠকে বিরোধী সাংসদদের তোপের মুখে পড়েছিল কেন্দ্র।সূত্রের খবর, সাংসদদের বাসভবন বরাদ্দ, সংস্কার থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান ইন্দুবালা গোস্বামীকে কার্যত তোপ কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। এই আবহে বাসভবন সমস্যা নির্মূলে দিল্লিতে সাংসদদের জন্য ১৮৪টি নবনির্মিত টাইপ-৭ বহুতল ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (আরও পড়ুন: মুনিরের হুমকির পরই আরব সাগরে 'মুখোমুখি' ভারত-পাক, মিসাইল লঞ্চ নৌসেনার)
আরও পড়ুন: ট্যারিফ যুদ্ধের মাঝে অজান্তেই 'আসল লড়াইতে ভারতের উপকার' করছেন ট্রাম্প?
সোমবার রাজধানীর বাবা খড়ক সিং মার্গে সাংসদদের জন্য ১৮৪টি নবনির্মিত টাইপ-৭ বহুতল ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আবাসিক প্রাঙ্গণে একটি সিঁদুর গাছও রোপণ করেন। পাশাপাশি মতবিনিময় করেছেন শ্রমজীবীদের সঙ্গেও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুরা। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল সংসদ সদস্যদের আবাসনের ঘাটতি মেটানো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিটি আবাসিক ইউনিটে প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট কার্পেট এলাকা রয়েছে, যা আবাসিক এবং সরকারি উভয় অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রদান করে। অফিস, কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারের জন্য এলাকা রয়েছে, যা সাংসদদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে। (আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি মুনিরের নিশানায় মুকেশ আম্বানি!)
আরও পড়ুন-'ইজরায়েল আমাকে হত্যা...,' আইডিএফের বোমায় ছিন্নভিন্ন দেহ, মৃত্যুর আগে সাংবাদিকের শেষ বার্তা
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কমপ্লেক্সের মধ্যে অত্যাধুনিক নির্মাণ শৈলীতে তৈরি প্রতিটি ভবনই ভূমিকম্প নিরোধক বলেও জানা গেছে। সমস্ত বাসিন্দার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যাপক এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতে, সাংসদদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের অভাবের কারণে প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল।এই বহুতল ফ্ল্যাটগুলিতে একসঙ্গে ১৮০ জনেরও বেশি সাংসদ থাকতে পারবেন।পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে এই বহুতলে রয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবস্থা, শক্তি-সাশ্রয়ী ফিটিংস এবং একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: 'পরের যুদ্ধ তাড়াতাড়ি হতে পারে', মুনিরের হুমকির আগেই কি কিছু আঁচ করেছে ভারত?
এর আগে রাজ্যসভার হাউস কমিটি বৈঠকে বিরোধীরা অভিযোগ করে যে এমন বেশ কিছু সাংসদ বাংলো দখল করে আছেন, যাঁরা এখন সাংসদ নন, কোনও সাংবিধানিক পদেও নেই, তবু সাংসদদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাট, বাংলো দখল করে বসে আছেন। অথচ লোকসভা নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও অনেক নতুন সাংসদ এখনও কোনও বাসভবন পাননি। আবার এমন অনেক সিনিয়র সাংসদও আছেন, যাঁদের পাওয়া উচিত বড় বাংলো, অথচ এখনও থাকতে হচ্ছে ফ্ল্যাটে।উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানের কথা। যাঁর জন্য এখনও কোনও বাসভবন বরাদ্দ হয়নি। ডেরেক ও’ব্রায়েন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনবারের সাংসদের যেখানে বাংলো বা দু’টি ফ্ল্যাট পাওয়ার কথা, তাঁদের থাকতে হচ্ছে ছোট ফ্ল্যাটে। তবে ১৮৪টি নবনির্মিত টাইপ-৭ বহুতল ফ্ল্যাট নির্মাণের পর সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।