আগামী অক্টোবর মাসে হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন। এখন সেখানে বিজেপি সরকার থাকলেও লড়াইটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ জাঠ এবং দলিতরা বিজেপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তার উপর কৃষক সমাজ বিজেপি বিরোধী হয়ে উঠেছে। তাই কংগ্রেস দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে, বিজেপির থেকে বিধানসভা ছিনিয়ে আনতে হবে। এই আবহে বিজেপির হরিয়ানা সরকারের অর্থমন্ত্রী বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন। তাতে নির্বাচনের প্রাক্কালে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। হরিয়ানার অর্থমন্ত্রী জেপি দালাল যে কথা বলেছেন তাতে কংগ্রেস অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে।
এদিকে হরিয়ানা জুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে। কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া বইতে শুরু করার জেরে এখন তাদের পাখির চোখ হরিয়ানা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী হরিয়ানার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। এই আবহে হরিয়ানার অর্থমন্ত্রী জেপি দালালের দাবি, কংগ্রেস যদি কোনওভাবে ক্ষমতা দখল করেও নেয় তাহলে তা ৬ মাসের বেশি টিকবে না। অর্থাৎ এককথায় তিনি স্বীকার করেই নিলেন কংগ্রেস সরকারে আসতেও পারে। বিজেপি পরাজিত হতেও পারে। সেক্ষেত্রে ৬ মাসের মধ্যে পিছনের দরজা দিয়ে আবার সরকারে আসবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: জনসমক্ষে নির্যাতিতার নাম বলে দেন সন্দীপ ঘোষ, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে তলব করল লালবাজার
অন্যদিকে এই মন্তব্য করার সময় জেপি দালাল টেনে এনেছেন নয়াদিল্লির নেতাদের কথা। তাঁদের সাহায্যে কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়া হবে। এই মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে হরিয়ানার রাজনীতিতে। মঙ্গলবার হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় জনসভা করে বিজেপি। সেখানে যোগ দিয়ে হরিয়ানার অর্থমন্ত্রী জেপি দালাল বলেন, ‘কিছু মানুষ বলছেন কংগ্রেস হরিয়ানা বিধানসভায় জিতবে। সরকার গঠন করবে। যদি হরিয়ানায় কংগ্রেস সরকার গড়ে তাহলে তা পড়ে যাবে ৬ মাসের মধ্যে। কিন্তু এই ধরনের কিছুই হবে না। এটা সব থেকে খারাপ সিনারিও। আমাদের দিল্লির নেতারা ৬ মাসের বেশি তাদের ক্ষমতায় টিকতে দেবে না।’
সুতরাং পিছনের দরজা কোনটি সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন হরিয়ানার অর্থমন্ত্রী। তাতেই বিতর্ক চরমে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও তা যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। বিজেপির অন্দরেও তা নিয়ে জোর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কেউ এই মন্তব্য নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ। তবে এই বিষয়টি নিয়ে হরিয়ানার কংগ্রেস ইনচার্জ দীপক বাবারিয়া বলেছেন, দালালের মন্তব্যে বিজেপির ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। বিরোধী সরকারগুলিকে দুর্বল করতেই বিজেপি ব্যস্ত। সংবিধানকে উপহাসের জায়গায় নিয়ে গিয়েছে জেপি দালাল। বিজেপির উচিত তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা।