লকডাউন বিধি ভাঙার জন্য বিধায়কের ছেলে ও তাঁর সঙ্গীদের গাড়ি আটকানোর হাতেগরম ফল পেলেন গুজরাতের মহিলা পুলিশ কনস্টেবল। তাঁকে বদলির নির্দেশ নিয়ে শুরু হল তীব্র বিতর্ক।
গত বুধবার কারফিউ চলাকালীন বাবার গাড়ি নিয়ে মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়েন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী কুমার কানানির ছেলে প্রকাশ কানানি। সুরাতের ভারাচা রোডে তাঁর বন্ধুদের বাধা দেন কনস্টেবল সুনীতা যাদব। তাদের বাঁচাতে হাজির হন প্রকাশ। বিধিভঙ্গ নিয়ে বিধায়ক-পুত্র ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বচসা বাধে সুনীতার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারফিউয়ের মধ্যে মাস্ক ছাড়া একদল যুবক গাড়ি নিয়ে ভারাচা রোড ধরে যাওয়ার সময় বাধা দেন সুনীতা যাদব। তাঁদের সঙ্গে বচসা চলাকালীনই গাড়ির আরোহীরা তাঁদের বন্ধু প্রকাশকে ফোন করে ডেকে আনেন। বাবার গাড়িতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে বিধায়ক-পুত্র শাসিয়ে বলেন, ‘আপনাকে ৩৬৫ দিন একই জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখব।’
প্রত্যুত্তরে এতটুকু না ঘাবড়ে সুনীতা জানান, তিনি তাঁদের ক্রীতদাস নন।
বচসার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হলে তাই নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন নেটিজেনরা। অনেকেই মন্তব্য করেন, ক্ষমতার অপপ্রয়োগে এই ভাবে আইনের হাত বেঁকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পরে সুনীতা যাদবকে পুলিশের প্রধান দফতরে বদলি করা হয়। অন্য দিকে, প্রকাশ কানানি ও তাঁর দুই শাগরেদকে রবিবার গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
তার আগে শনিবার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন সুরাতের পুলিশ কমিশনার আর বি ব্রহ্মভট। বদলি হওয়ার পরে আপাতত অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন কনস্টেবল সুনীতা যাদব।