কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক মানেই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার লাইসেন্স নয়। সম্প্রতি একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিল বম্বে হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সেই মামলাতেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ।
এই মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি ভারতী এইচ দাংরের সিঙ্গল বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানায়, প্রত্যেক সম্পর্কে সব মহিলারই একটা সম্মান রয়েছে। সেটা বন্ধুত্বই হোক বা কাউকে পছন্দ করাই হোক। তাই বলে বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে কারোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। বিশেষ করে যখন ওই মহিলা বন্ধুত্বের সম্পর্কে আপত্তি জানাচ্ছে, তখন তো আরও নয়। একইসঙ্গে বিচারপতি জানান, কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া মানেই সেই মহিলা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ অভিযুক্ত আশিস চাকর ও অভিযোগকারিণী তাঁদের কমন ফ্রেন্ডের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে দুজনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। অভিযোগকারিণী বার বার আশিসকে বাধা দেয়। কিন্তু আশিস জানায়, তাঁর অভিযোগকারিণীকে পছন্দ। শুধু তাই নয়, ওই যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন আশিস। এরপর টানা তিন বছর ধরে ২২ বছরের ওই যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন আশিস। এর ফলে ওই যুবতী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু এরপর বিয়ে করতে রাজি হননি আশিস। উল্টে ওই যুবতীকে দুশ্চরিত্র ও অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে কালিমালিপ্ত করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যুবতী তাঁর সম্মান বাঁচাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন।