এই গত বছরেও হাসানের সাংসদ হিসেবে প্রতি মাসে মূল বেতন ছিল ১.২ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে পেতেন বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা। তবে সেই সাংসদ পদ চলে গেল একটা মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পর। ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার নাতি, তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো প্রজ্বল রেভান্না। গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে তাঁর কারাবাস। তাঁর পরিচয় কয়েদি নম্বর ১৫৫২৮। এখন তিনি মাসে আয় করবেন মাত্র ৫২২ টাকা। তাও কায়িক শ্রম করে।
আরও পড়ুন-'সহকর্মী হায়দরাবাদী...,’ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে সমর্থন ওয়েইসির
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে পাঠাগার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহার জেলে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি তথা হাসানের প্রাক্তন জেডি (এস) সাংসদ প্রজ্বলের কাজ হবে কয়েদিদের বই দেওয়া এবং বই ফিরিয়ে নিয়ে তার রেকর্ড রাখা। এই কাজের জন্য প্রতিদিন ৫২২ টাকা করে পাবেন তিনি। এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলের নিয়ম অনুযায়ী, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নিজেদের যোগ্যতা ও ইচ্ছে অনুযায়ী কিছু কাজ করতে হয়। মাসের মধ্যে অন্তত ১২ দিন কাজ করতে হয় তাদের। আদালতে হাজিরা এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক থাকায় প্রজ্বলের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা আপাতত কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-'সহকর্মী হায়দরাবাদী...,’ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে সমর্থন ওয়েইসির
কর্ণাটকের হাসান জেলায় একটি খামারবাড়িতে পরিচারিকাকে আটকে রেখে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে রেভান্নার বিরুদ্ধে। ওই সময়ের ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। সিটের জমা দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালত।এই মামলায় নির্যাতিতা একটি শাড়ি জমা দেন অভিযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে। ফরেনসিক তদন্তে ধরা পড়ে সেই শাড়িতে রয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাতির বীর্য। এটাই এই মামলার মূল প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মামলার শুনানি শুরু হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ। মোট ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। শুনানি শুরুর মাত্র সাতমাসেই সম্পন্ন হয় বিচার।