পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইভ শো চলাকালীন নিষিদ্ধ গান 'চম্বল কে ডাকু' গাওয়ার অভিযোগে হরিয়ানভি গায়ক মাসুম শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।একই সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আদিত্য ঠাকুরকে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডে। ইউটিউবে মাসুম শর্মার এই গানটি ২৫ কোটিরও বেশি ভিউ হয়েছে। হরিয়ানা সরকার এই গানটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, এই গান 'গান কালচার' বা বন্দুক সংস্কৃতিকে প্রচার করে।
জানা গেছে, চণ্ডীগড়ে মাসুম শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর অনুসারে, সেক্টর-২৪ পুলিশ পোস্টের এএসআই সুরেন্দ্র সিং পুলিশ স্টেশন-১১-এ একটি অভিযোগ পাঠিয়েছেন যেখানে গায়ক মাসুম শর্মার বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের মতে, ২০২৫ সালের ২৮ মার্চ, সেক্টর ২৫-এ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লাইভ কনসার্ট হয়েছিল। সেখানে মাসুম শর্মা একটি নিষিদ্ধ গান গেয়েছিলেন।পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের আগে, মাসুম শর্মা লিখিত আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি শোতে কোনও নিষিদ্ধ বা বিতর্কিত গান গাইবেন না। তা সত্ত্বেও, তিনি অনুষ্ঠানে 'চম্বল কে ডাকু' গানটি করেন। ইতিমধ্যেই এই গান সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন-১৯৫২ সালের পর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প! রাশিয়ার ভয়ঙ্কর মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের আগে চণ্ডীগড়ের জেলা প্রশাসক স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে হিংসা, মাদক বা অপরাধকে উৎসাহিত করে এমন গান গাওয়া উচিত নয়, কিন্তু মাসুম শর্মা সেই নির্দেশ অমান্য করেছিলেন। ওই দিন মাসুম শর্মার অনুষ্ঠান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র আদিত্য ঠাকুরকেও হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে। এর আগে এই ঘটনায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।এই মামলার শুনানি চলাকালীন চণ্ডীগড়ের ডিসি, ডিজিপি এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ জারি করা হয়। এরপরেই মাসুম শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, চণ্ডীগড় প্রশাসন এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ সালে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন-১৯৫২ সালের পর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প! রাশিয়ার ভয়ঙ্কর মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল
উল্লেখ্য, বন্দুক সংস্কৃতি প্রচারের অভিযোগে হরিয়ানার নায়েব সিং সাইনি সরকার এখন পর্যন্ত ৩০টি গান নিষিদ্ধ করেছে, যার মধ্যে মাসুম শর্মার বহু গান রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর 'চম্বল কে ডাকু'গানটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগে হরিয়ানা সরকার ইউটিউব থেকে মাসুমের তিনটি গান – তশন বাদমাশি কা, ৬০ মুকাদমে এবং খাটোয়া গানগুলি সরিয়ে নিয়েছে। কারণ সেগুলি বন্দুক সংস্কৃতি যা সমাজের পক্ষে ভয়ঙ্কর, সেগুলির প্রচার করে। বন্দুক সংস্কৃতি প্রচারের গানগুলি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্য পাঞ্জাবের অনেক গায়কও এহেন গান বানাচ্ছেন। ফলে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।