বিক্রি হয়ে গেল এক্স। এই তথ্য দিলেন ইলন মাস্ক নিজেই। মাস্ক শুক্রবার ঘোষণা করেছেন যে তাঁর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা এক্সএআই ৪৫ বিলিয়ন ডলারের অল-স্টক লেনদেনের মাধ্যমে এক্স (পূর্বতন টুইটার) কিনে নিয়েছে। এর মধ্যে এক্স-এর ১২ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দায়ও এক্সএআই-এর ঘাড়ে চেপেছে। এই আবহে এক্স-এর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এবং এক্সএআই-এর বাজার দর হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। (আরও পড়ুন: 'মোদী খুবই স্মার্ট, আমার ভালো বন্ধু', শুল্কযুদ্ধে ভারত নিয়ে বড় বার্তা ট্রাম্পের)
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে একীভূত করার দিকে পা বাড়িয়েছেন মাস্ক। এই নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ইলন মাস্ক লেখেন, 'এক্সএআই এবং এক্সের ভবিষ্যত একে অপরের সাথে জড়িত। আজ, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ডেটা, মডেল, গণনা, বিতরণ এবং প্রতিভা একত্রিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছি।' মাস্ক আরও বলেন, 'আমি এক্সএআই এবং এক্স-এর প্রত্যেকের কঠোর নিবেদনকে স্বীকৃতি দিতে চাই যা আমাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এটা তো সবে শুরু।' 'সত্যান্বেষী' কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তালিকায় এক্সএআইকে সামনের সারিতে রাখার চেষ্টা করছেন মাস্ক। এক্সএআইয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এক্স-এর ৬০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়ায় এআই সম্পর্কিত কাজ আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০২২ সালে টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছিলেন ইলন মাস্ক। এর আগে অবশ্য ইলন মাস্ক টুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার প্রচেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন যে ৪৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির সময় টুইটারের তরফে তাঁকে সংস্থা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সব জটিলতা পার করে শেষ পর্যন্ত টুইটার কিনে নিয়েছিলেন মাস্ক। পরে তার নাম বদলে তিনি রাখেন 'এক্স'। টুইটারের নীল পাখিকেও ছুটি দিয়েছিলেন মাস্ক। এদিকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিজের নতুন এআই সংস্থা চালু করেন মাস্ক। নাম রাখেন - 'এক্সএআই'। গুগলের 'ডিপমাইন্ড', মাইক্রোসফট, টেসলা থেকে আধিকারিকদের এক্সএআই-এ নেন মাস্ক।