২০২৪ সালের জুলাই-অগস্ট আন্দোলনের সময় বারবার গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেই সময় ছাত্রলিগের তরফ থেকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর হামলার অভিযোগও উঠেছে বারবার। এই আবহে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্রলিগকে। এরই মাঝে আওয়ামি লিগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। এরই মাঝে শেখ হাসিনা সহ বিগত সরকারের প্রায় সব মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন বহু প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপি, জামাত এবং আন্দোলনকারী ছাত্ররা বারবারই হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও জানিয়েছে। তবে এই নিয়ে পদক্ষেপ করেনি ইউনুসের সরকার। এরই মাঝে ইউনুস নিজেই ২০ মার্চ জানিয়ে দেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই। এই আবহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগ ‘আবার ফিরছে’, ঢাকায় বসেই হাসিনার দল নিয়ে বড় কথা খোদ ইউনুসের)
আরও পড়ুন: ISI কর্তাদের পরে বাংলাদেশ যাবেন পাক বিদেশমন্ত্রী, আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা নিয়ে
জানা গিয়েছে, ২১ মার্চ ভোররাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল পর্যন্ত বেরিয়ে যায় আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে। সেই মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঐতিহাসিক রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ না করা হলে কোনও নির্বাচনকেই মেনে নেওয়া হবে না। এদিকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আজ ঢাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের মিছিল করার কথা দুপুর ৩টে নাগাদ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে হাসিনার দেশত্যাগের ৬ মাস পূরণের আবহে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চলে। এর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বা রেসিডেন্ট পারমিট বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। হাসিনাকে সরকারি ভাবে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনাকে বৈধ ভাবে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। এরই মাঝে নানান মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার। তবে হাসিনার দলকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে নারাজ।