প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার এই ইস্যুতে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। শনিবার তিনি বলেন, মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আদতে 'সস্তা রাজনীতি' করছে কংগ্রেস।
এই ইস্যুতে সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন নড্ডা। উল্লেখ্য, এর আগেই রাহুল এবং খাড়গে দাবি করেছিলেন, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানস্থল নির্বাচনে ড. মনমোহন সিংয়ের যে সম্মান প্রাপ্য ছিল, কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার তাঁকে তা দেয়নি।
এর পালটা এবার নড্ডা বললেন, যখন মনমোহন জীবিত ছিলেন, তখন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। আর এখন তারা স্রেফ 'সস্তা রাজনীতি' করার জন্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহ্যের অপব্যবহার করছে।
এই বিষয়ে নড্ডা বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের মতো একটি দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করতে ছাড়ছেন না।'
এখানেই থেমে থাকেননি নড্ডা। এই ইস্যুতে কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণে ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন তিনি। ফের একবার সরাসরি নিশানা করেছেন গান্ধী পরিবারকে। নড্ডার বক্তব্য, মনমোহন সিং যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় পর্যন্ত কংগ্রেস তাঁকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি।
এ নিয়ে নড্ডা বলেন, 'এই হল সেই কংগ্রেস, যারা মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদের পর্যন্ত মর্যাদা করেনি। কারণ, তারা সেই সময় সোনিয়া গান্ধীকে সুপার পিএম করে দিয়েছিল। যিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও উপরে ছিলেন! রাহুল গান্ধী অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে অপমান করেছিলেন। আর আজ সেই একই রাহুল গান্ধী রাজনীতি করছেন।'
প্রসঙ্গত, মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য নিয়ে গত দু-তিনদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ড. মনমোহন সিং ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে ভারতীয় অর্থনীতির সংস্কারের স্থপতি বলা হয়। এমন একজন ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য নিগমবোধ ঘাটে আয়োজন করে আসলে তাঁকে অপমান করেছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী - সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতানেত্রীরা। শনিবার এ নিয়ে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেন রাহুল গান্ধী। আর তারপরই তাঁকে এবং তাঁর দলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন জে পি নড্ডা।