প্রকাশ্য মঞ্চে রেল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন মধ্যপ্রদেশে খোদ বিজেপি মেয়রের পুত্র। ওই কিশোরের নাম সংঘমিত্র ভার্গভ। তিনি ইন্দোরের বিজেপির মেয়র পুষ্যমিত্র ভার্গভের পুত্র।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গেছে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মেয়র পুষ্যমিত্র ভার্গভের পুত্র সংঘমিত্র ভার্গভকে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সভায় মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। উপস্থিত তার বাবা পুশ্যমিত্রও। সেই সঙ্গে বিজেপির একাধিক শীর্ষস্তরের নেতা ।আর সেখানেই ভারতের সমাজবাদ বিষয়ের উপর বিপক্ষে বক্তব্য রাখে সংঘমিত্র। সেই বক্তব্য রাখতে গিয়েই রীতিমতো নেতার ঢং-এ দেশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি নেতার পুত্র। সংঘমিত্র দাবি করে, বুলেট ট্রেন নিয়ে বহু বক্তব্য রাখা হলেও আজও তা প্রেজেন্টেশনের জায়গা থেকে বাস্তবে মাটিতে নামতে পারেনি। সেই সঙ্গে দাবি করে, গোটা দেশের ৪০০ এয়ারপোর্টের মত আধুনিক মানের রেল স্টেশন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তৈরি হয়েছে মাত্র কুড়িটি। সেখানে সাইনবোর্ড চকচক করলেও সামান্য জলও সেখানে দাম দিয়ে কিনে খাওয়া দুষ্কর সাধারণ মানুষের পক্ষে।
এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় রেলের কবচ ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংঘমিত্র। তার দাবি ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, সোয়া লক্ষ কোটি টাকা যা জনগণের করের টাকা থেকে রেলের উন্নয়নের জন্য জমা পড়েছিল, সেই পরিকল্পনার ৮০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়নি। এই টাকার ৭৮ শতাংশ রেলের সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল। সেই টাকা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য খাতে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার উদাহরণ তুলে ভারতীয় রেলের কবচ ব্যবস্থার ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বিজেপির নির্বাচিত মেয়রের পুত্র সংঘমিত্র। তাঁর কথায়, 'যখন একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, তখন শুধুমাত্র কোচগুলি ভেঙে যায় না, বরং একজন মায়ের কোলও খালি হয়ে যায়। এক সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যায় এবং একজন বৃদ্ধ বাবার শেষ আশা কেড়ে নেওয়া হয়।' তবে তাঁর এই কেন্দ্র বিরোধী বক্তব্য শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেননি মঞ্চে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, বরং করতালি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে বিতর্কে উপেক্ষা করে তিনি বলেন, 'আমি আমার ভাগ্নের জন্য প্রচুর হাততালি দিয়েছি... যেভাবে সে নির্ভীকভাবে তার মতামত প্রকাশ করেছে...বক্তব্যে কোনও অনুচিত কথা ছিল না।'