বড়দিনের সকালে বাসভবনে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে দেখা করে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন সেদেশের সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তবে তার একদিন আগেই চট্টগ্রামের বান্দরবানে খ্রিস্টানদের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলায় সরই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ ঘর খ্রিস্টান ঘরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। (আরও পড়ুন: আফগান মাটিতে বোমা বর্ষণ পাকিস্তানের, মৃত ৪৬, অধিকাংশই মহিলা-শিশু: তালিবান)
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে হতবাক বাংলাদেশ! কী হচ্ছে, তা জানেই না ইউনুসের সরকার?
আরও পড়ুন: পেটের জ্বালা বড় জ্বালা! চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতীয় জাহাজ, ইউনুসের দেশে গেল…
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানকার সংখ্যালঘুদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তারপর আগুনে বাড়ির প্রায় সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ধর্মীয় অত্যাচারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি বাংলাদেশি মিডিয়ার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশের প্রাক্তন আইজি বেনজির আহমেদের স্ত্রী নাকি এই এলাকায় জমি লিজ নিয়ে এই খ্রিস্টানদের উৎখাত করেছিলেন। পরে হাসিনার বিদায়ের পর সেই সব খ্রিস্টান পরিবার ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে আসেন। এই আবহে তাদের ওপর হামলা হয় ২৪ ডিসেম্বর। তবে তা সত্ত্বেও সেই দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ওপর প্রশ্নচিহ্ন বজায় থাকছে। (আরও পড়ুন: 'আরজি করে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ভোঁতা বস্তু...', MIMB-র রিপোর্ট CBI-এর কাছে)
আরও পড়ুন: 'সীমান্ত হত্যা' নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ, পাচারকারীদের পথ কি সাফ করতে চায় BNP?
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২১ ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে হামলা চালায় ডাকাতরা। সেই ঘটনায় এক সেবায়েতকে খুন করা হয়েছিল। এর আগে ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংয়ের হালুয়াঘাট উপজেলায় দুটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল। ২০ তারিখ শাকুয়াই ইউনিয়নের বন্দেরপাড়া মন্দিরের দুটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এদিকে ১৯ তারিখ বিলডোরা ইউনিয়নের একটি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলালউদ্দিন নামে এক যুবককে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবক নিজের দোষ কবুল করে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি। তাকে আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: ফের বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, এরপর নামবে পারদ, তবে ঠান্ডা থাকবে কতদিন?)
তারও আগে গত ১৭ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরের পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর ২২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিসংখ্যান অবশ্য মানতে চায়নি বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস উইংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, অতিরঞ্জিত তথ্য পেশ করা হয়েছে। আর সংখ্য়ালঘুদের উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটা মূলত রাজনৈতিক। আর তারইমধ্যে পরপর হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা সামনে আসছে বাংলাদেশ থেকে।