1 মিনিটে পড়ুন Updated: 07 Feb 2024, 02:59 PM ISTChiranjib Paul
সেদিনের ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় ইস্তিয়াকের চোখে মুখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল। তাদের কাজের জায়গা ছিল টিন দিয়ে ঢাকা।
আতশবাজি কারখানায় ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ চলছে। ((ছবি পিটিআই)
মধ্যপ্রদেশের হারদায় আতশবাজি কারখানার ধংসস্তুপের মধ্যে হিমশীতল সত্যিটা লুকিয়ে আছে। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ১৫০ থেকে ২০০ জন লোক শুধু কারখানার প্রথম তলাতেই ছিল।
বিস্ফোরণে আহত কারখানার কর্মী ইস্তিয়াক আলি (৪৬) হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, 'বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় গোটা মেঝে ঢেকে গিয়েছিল। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল।' ইস্তিয়াক কারখানার নিচতলায় কাজ করেছিলেন। কোনমতে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর আশঙ্কা, তাঁর কয়েক ডজন সহকর্মী তাঁর মতো পালাতে পারেননি।
ইস্তিয়াক বলেন, 'যেখানে বিস্ফোরক তৈরি করা হয় সেখানে বিস্ফোরণটি ঘটে। আমি যেখানে কাজ করতাম সেখানে বিস্ফোরক গুঁড়ো আতশবাজিতে ভরা হত। আমাদের ফ্লোরে ৩২ জন শ্রমিক ছিল এবং আমরা ১০ কুইন্টাল বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করতাম। দুর্ভাগ্যবশত, তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান।'
সেদিনের ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময় ইস্তিয়াকের চোখে মুখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল। তাদের কাজের জায়গা ছিল টিন দিয়ে ঢাকা। তিনি ধরা গলায় বলতে থাকেন, 'যারা নিচতলায় কাজ করছিল সৌভাগ্যবশত তাদের অধিকাংশই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের কেউ কেউ বাইরে আহত অবস্থায় মারা যায়। আমি ২২ বছর বয়সী এক যুবককে চোখের সামনে মারা যেতে দেখেছি। প্রথম তলার কেউ বাঁচার সুযোগ পায়নি।' বলতে বলতে তিনি কেঁদে ফেলেন।
বেঁচে যাওয়া আরেকজন শ্রমিক আজিজ খান (৪৫) বলেন, 'আমি ভাগ্যবান যে বাইরের দিকে একটি হলে কাজ করছিলাম। প্রথম বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি পালিয়ে যেতে পারি।' আজিজের আশঙ্কা বিস্ফোরণের সময় তাঁর ৭০ জন সহকর্মীর পালাতে পারেননি ।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের হারদায় একটি আতশবাজি কারখানায় আগুন লেগে ১১ নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায়, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি ভাবেই কারখানাটি চলছিল।