গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহের নামে স্থানীয় মসজিদ থেকে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে এক সিরীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে আহমেদাবাদ পুলিশ। অভিযুক্তের তিন সঙ্গী এখনও পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই অর্থ নিজেদের বিলাসবহুল জীবনযাপনে ব্যবহার করছিল। তবে অর্থ সংগ্রহের আড়ালে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ভারতে এসেছিল কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম কমিশনার শরদ সিংঘল জানান, এলিস ব্রিজ এলাকার একটি হোটেল থেকে আলি মেঘাত আল-আজহার (২৩) নামে এক সিরীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।তার কাছ থেকে ৩,৬০০ মার্কিন ডলার এবং ২৫,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার তিন সঙ্গী, জাকারিয়া হাইথাম আলজার, আহমেদ আলহাবাশ এবং ইউসুফ আল-জাহার গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ভারত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রুখতে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, এই চারজন সিরীয় নাগরিক ২২ জুলাই পর্যটন ভিসা নিয়ে কলকাতায় আসে এবং ২ আগস্ট আহমেদাবাদে পৌঁছায়। তারা স্থানীয় মসজিদগুলোতে গিয়ে গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ভিডিও দেখিয়ে সহানুভূতি আদায় করত এবং খাদ্য সরবরাহের জন্য অনুদান চাইত। কিন্তু পুলিশ এমন কোনও প্রমাণ পায়নি, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, তারা এই অর্থ গাজায় পাঠাচ্ছিল।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পরিণতি! নায়াগ্রা জলপ্রপাতে গিয়ে মৃত্যু বিহারের বাসিন্দার, কী ভাবে?
পুলিশের সন্দেহ, এই দলটি অর্থ সংগ্রহের আড়ালে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে শহরে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চ, গুজরাট অ্যান্টি-টেরোরিজম স্কোয়াড এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি যৌথভাবে তদন্ত করছে। উদ্ধার হওয়া মার্কিন ডলার এবং কিছু ডিজিটাল লেনদেন তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের গতিবিধি এবং যোগাযোগের সূত্র খোঁজা হচ্ছে।এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয় একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, যেখানে জানা যায় যে একটি সিরিয়ার গ্যাং গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের নামে মিথ্যা দাবি করে তহবিল সংগ্রহ করছে। তদন্তে দেখা গেছে, আলি এলিসব্রিজের রিগাল রেসিডেন্সি হোটেলে থাকছিলেন এবং তিনি নিজেকে গবাদি পশু পালনের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছিলেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, তারা কোনও গোপন কাজের জন্য রেইকি করতে এখানে এসেছিল এবং কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পরিণতি! নায়াগ্রা জলপ্রপাতে গিয়ে মৃত্যু বিহারের বাসিন্দার, কী ভাবে?