Sreebhumi Durga Puja: শ্রীভূমির এবারের থিম ডিজনিল্যান্ড। আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত থিম পার্কের আদলে গড়া হয়েছে এই থিম। পুজো মণ্ডপের প্রবেশদ্বার থেকেই রয়েছে একের পর এক চমক।
শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ড
ডিজনিল্যান্ডের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। থিম পার্কের ইতিহাসে ডিজনিল্যান্ডকে সর্বশ্রেষ্ঠ থিম পার্ক বলে মনে করা হয়। এই ডিজনিল্যান্ডই এবার কলকাতায় শ্রীভূমিতে। বিশ্বখ্যাত থিমপার্কের আদলে হচ্ছে দুর্গাপুজো। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এই পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিবছরই দুর্গাপুজোয় চমক দিয়ে থাকে। কখনও তাদের থিমের মধ্যে থাকে বাহুবলী তো কখনও থাকে বুর্জ খালিফা। এমনকি ভ্যাটিকান সিটিও ছিল তাদের থিমের তালিকায়। এই বছর সেই সারিতেই জায়গা করে নিল ডিজনিল্যান্ড। প্রতি বছরই তুমুল ভিড় হয় এই পুজো ঘিরে। রীতিমতো যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবস্থা সঙ্গীনও হয়ে ওঠে কিছুক্ষেত্রে। তবে চলতি বছরে ভিড় সামলাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই খবর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড এক বহু চর্চিত বিষয়। ক্যালিফোর্নিয়ার আনাহেইম শহরের স্যান্টা এনা ফ্রিওয়ের কাছে ১৬০ একরের একটি জমিতে ডিজনিল্যান্ড গড়ে তোলা হয়। সেখানে ১৯৫৪ সাল থেকে শুরু হয় ডিজনিল্যান্ডের নির্মাণ। জমি জুড়ে থাকা বিভিন্ন গাছপালা কেটে ফেলে শুরু হয় নির্মাণের কাজ।
কীভাবে এই ডিজনিল্যান্ড গড়ার পরিকল্পনা হল? একদিন ওয়াল্ট ডিজনি গ্রিফিথ এক পার্কের বেঞ্চে বসেছিলেন। সে সময় তাঁর দুই মেয়ে সেই পার্কের মেরি-গো-রাউন্ড ক্যারোজেলে চড়ে হৈ-হুল্লোড় করছিল। তিনি ভাবলেনযদি পার্কগুলিতে পরিবারের সবার জন্যই পর্যাপ্ত আনন্দের ব্যবস্থা থাকত, তাহলে দারুণ ভালো হত! কিন্তু সে সময় এ ধরনের অ্যামিউজমেন্ট পার্কের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। এই সমস্যা দূর করতে তিনি নিজেই একটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করলেন। বিশ্বখ্যাত ডিজনিল্যান্ডের আসলে ওয়াল্ট ডিজনিরই পরিকল্পনা। এবার বাঙালিরা আমেরিকা না গিয়েও সেই থিম পার্ক উপভোগ করতে পারবে কলকাতাতেই। তেমনটাই আয়োজন করেছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব।