Kokborok Interesting Facts: রোমান হরফে ককবরক ভাষার দাবি ফের উত্তাল ত্রিপুরার কিছু অংশ। এই ভাষা ত্রিপুরার আদিভাষা। ১৯৭৯ সালে এই ভাষাকে ত্রিপুরার মুখ্য ভাষা হিসেবেও স্বীকৃৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কক কথার অর্থৎ লোক ও বরক কথার অর্থ মানুষ। এই ভাষার বেশ কিছু অল্পজ্ঞাত তথ্যের হদিস রইল এই প্রতিবেদনে।
ককবরকের যে কাহিনি অনেকেরই অজানা
১. ককবরক ভাষায় যাঁরা কথা বলেন, তাদের তিপ্রা বা ত্রিপুরি বলা হয়। তবে এই ভাষা যে শুধুমাত্র ত্রিপুরাতেই প্রচলিত, তা নয়। ককবরক ভাষা তিব্বতি-বর্মীয় ভাষাগুলির মধ্যে একটি। এই ভাষা ভারতের উত্তরপূর্ব অংশে বহুল প্রচলিত। তাছাড়াও, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে এই ভাষার চল রয়েছে। আসামের বোরো, দিমাসা, কাছারি ভাষার বেশ ঘনিষ্ঠ এই ভাষা।
২. আগে তিপ্রা নামে পরিচিত হলেও কুড়ির শতকে এর নাম বদল হয়। ককবরক ভাষা ভারতের ৪৭টি ল্যাঙ্গুয়েজ কোডের মধ্যে ১৭ নম্বর ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ষষ্ঠ অল ইন্ডিয়া এডুকেশনাল সার্ভেতে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - Voter-Aadhaar Card Linking: বাড়ি বসেই মাত্র কয়েক মিনিটে সম্ভব ভোটার আধার কার্ড লিঙ্কিং! কীভাবে করবেন জানুন
৩. ত্রিপুরায় এই ভাষা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত দেববর্মা, কালাই, রিয়াং, জামাতিয়া, ত্রিপুরা, রূপিণী, উচোই এবং মুরাসিং জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তবে এই ভাষাটি ছাড়াও, তিপ্রা জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা, রিয়াম চং এবং দারলং নামের আরও তিনটি ভাষা ব্যবহার করে। রিয়াম চং মূলত হালাম জনগোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত হয়। অন্য দিকে, দারলং জনগোষ্ঠী দারলং ভাষাও ব্যবহার করে। তবে এগুলি একে অপরের থেকে আলাদা বলে জানা যায়।
৪. ককবরকের লিপি ‘কোলোমা’ নামে পরিচিত ছিল। এই লিপিতে বরক রাজাদের ইতিহাস লেখা হয়েছিল ‘রাজরত্নকর’ নামে একটি গ্রন্থে। বরকদের মোট ১৮৪ জন রাজা ছিলেন। দুর্লবেন্দ্র চোন্তাই ‘কোলোমা’ লিপি ব্যবহার করে এই গ্রন্থ লেখেন। কিন্তু এই লিপিটি আর বর্তমানে পাওয়া যায় না। তাছাড়া, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে এই লিপিটি সম্পূর্ণ বা সম্পন্ন হয়নি। তাই কিছু লোক এই ভাষা রোমান লিপিতে লেখেন। কেউ কেউ আবার বাংলা লিপিতে লেখেন।