প্রচন্ড শীতে মশার বাড়বাড়ন্ত না থাকলেও গরম পড়তে না পড়তেই ফের শুরু হয়ে গেছে মশার উৎপাত। এবার আপনি বলবেন, মশা তো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।এতে আর নতুন কি আছে। আসলে মশার উৎপাত আগে থাকলেও মশা বাহিত রোগের প্রকোপ এতটা ছিল না আগে।
গ্রীষ্মের পরেই যখন বর্ষা আসে, ঠিক তখনই জমা জলে শুরু হয়ে যায় ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গির প্রকোপ। গ্রাম থেকে শহর, মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। রাতে অলআউট অথবা মশারি ব্যবহার করলেও সারাদিন মশার হাত থেকে কোনওভাবে রেহাই পাওয়া যায় না।
(আরো পড়ুন: চোখের সমস্যায় দারুণ উপকারী অ্যাপ্রিকট, একাই একশো! ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার)
মশা বাহিত রোগে যাদের নিয়ে সবথেকে চিন্তায় থাকেন পরিবারের সদস্যরা, তারা হলো শিশুরা। ছোট ছোট শিশু যারা বারান্দায়, বাগানে অথবা ছাদে খেলে বেড়ায় তাদের মশার হাত থেকে রক্ষা করা ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আপনাকে এমন একটি গাছের কথা বলব যে গাছটি আপনার বাড়িতে থাকলে আপনার বাড়িতে হবে না মশার উৎপাত।
মারুয়া গাছের কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন। এই মারুয়া গাছ হল পুদিনা পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এর গন্ধ এতটাই শক্তিশালী, যেখানে এই গাছ থাকে সেখানে মশা তো দূরের কথা কোনও পোকামাকড়ও থাকতে পারে না। আপনি যদি বাড়ির বাগানে অথবা বারান্দায় এই গাছ লাগাতে পারেন তাহলে আপনার বাড়িতে মশার উপদ্রব কমে যাবে অনেকটাই।
(আরো পড়ুন:মাটির পাত্রে খাবার রাখলে কী হয়? শরীরে কী কী প্রভাব পড়ে? জেনে নিন উপকারের তালিকা)
মারুয়া গাছটি দেখতে অনেকটা তুলসী গাছের মত। এক কথায় বলা যায় মশার যমদূত এই গাছটি। এবার আপনি ভাবতেই পারেন, বাড়ির শিশুরা যদি কোনও ভাবে এই গাছটি ধরে ফেলে বা গাছের পাতা খেয়ে ফেলে তাহলে হয়তো হয়ে যেতে পারে বিষক্রিয়া। কিন্তু আদতে ব্যাপারটি একেবারেই তা নয়।
মারুয়া গাছটি শুধু মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় তা নয়, এই গাছের রয়েছে একাধিক গুণ। এই গাছটি শিশুদের জন্য ভীষণ উপকারী। মারুয়া গাছের পাতা শিশুদের পেটের কৃমি মারতে সাহায্য করে। মারুয়া গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই এই গাছের পাতা খেলে খিদে বারে এবং রক্ত বিশুদ্ধ হয়।
আপনি চাইলে মারুয়া পাতার চাটনি তৈরি করতে পারেন অথবা স্যালাডে সবজি হিসেবে খেতে পারেন। মোট কথা, এই গাছটি একটি ভীষণ উপকারী এবং ঔষধি গাছ। তাই সার্বিক উপকারের জন্য আজই নিজের বাগানে বা বারান্দায় রাখুন মারুয়া গাছ।