হার্বাল সিগারেট এমন এক ধরনের সিগারেট যা তামাক বা নিকোটিন ব্যবহার না করে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান যেমন পুদিনা, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলাপ বা অন্যান্য গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয়।যেসব সংস্থায় এই ধরনের সিগারেট তৈরি হয়, তাঁরা প্রায়ই দাবি করেন, এটি বাজারচলতি সিগারেটের স্বাস্থ্যকর বিকল্প। কারণ এতে নিকোটিন নেই এবং নেশা হয় না। কিন্তু আদতে কি তাই? বিশেষজ্ঞদের মতে যদিও এই দাবি পুরোপুরি ঠিক নয় ও হার্বাল সিগারেটেও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি লুকিয়ে আছে। কী কী বিপদ? জেনে নেওয়া যাক।
হার্বাল সিগারেটের কী কী বিপদ?
১. কার্বন মনোক্সাইড এবং টার: হার্বাল সিগারেটে নিকোটিন না থাকলেও, এর জ্বলন্ত ভেষজ পদার্থগুলি থেকে কার্বন মনোক্সাইড এবং টার উৎপন্ন হয়। এই দুটি উপাদানই ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ক্যানসার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন - দশেরা বিতর্ক ঘিরে খবরে সাহিত্যিক বানু মুস্তাক! কেন? পরিচিতি একনজরে
২. ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ: অনেক হার্বাল সিগারেটে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই রাসায়নিকগুলো জ্বলে ক্ষতিকর ধোঁয়া তৈরি করে, যা ফুসফুসের ক্ষতি করে।
৩. নেশা: যদিও এতে নিকোটিন নেই, হার্বাল সিগারেটের অভ্যাস থেকে নেশা হলেও হতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস বা আচরণ অনেকের মধ্যে একটি মানসিক নির্ভরতা তৈরি করে, যা পরে নিকোটিনযুক্ত সিগারেটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৪. ফুসফুসের প্রদাহ: হার্বাল সিগারেটের ধোঁয়া ফুসফুসের প্রদাহ এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানির মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন - গোড়ার দিকের এসব লক্ষণই জানান দেয় ডেঙ্গি, কীভাবে বুঝবেন? জানাচ্ছেন চিকিৎসক
৫. আইনি সমস্যা: অনেক দেশে হার্বাল সিগারেটের উপাদান এবং প্রভাব নিয়ে স্পষ্ট কোনও আইন নেই, যার ফলে এর মান নিয়ন্ত্রণে কোনও নজরদারি থাকে না।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।