মৃত্যু নিষিদ্ধ এই শহরে। স্পেনের গ্রানাডার ছোট্ট শহর লানজারনে গত ২৬ বছর ধরে এই নিয়মই বলবৎ রয়েছে। সহজ ভাষায় যার অর্থ এই শহরে মারা যেতে পারবেন না কেউ! শহরের মেয়রের তরফে জারি করা হয়েছিল এমন উদ্ভট নিয়ম! কিন্তু এর নেপথ্যের কারণ কী? মেয়রের কথায়, শহরের কবরস্থানে আর কবর দেওয়ার জায়গা নেই। শহরের লোককে সবসময় আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাই তাদের কথা ভেবেই এই নিয়ম জারি করা হয়েছে শহরে।
কেন এই নিয়ম?
১৯৯৯ সালে স্পেনের এই সুন্দর শহরে মেয়র এই নিয়ম চালু করেছিলেন। ২৬ বছর আগে তখন যথেষ্ট সংখ্যায় মৃতদেহ কবর দেওয়া হচ্ছিল শহরের কবরস্থানে। কিন্তু কবরস্থানেরও তো একটা ধারণক্ষমতা রয়েছে। তাই একটা সময়ের পর বাধ্য হয়ে নিয়ম বলবৎ করতে বাধ্য হয় শহর প্রশাসন। নিয়ম জারি হয়, শহরে আর মারা যেতে পারবেন না কেউ। অর্থাৎ তাঁদের কবরস্থ করার ব্যবস্থা শহরে করা যাবে না। তার জন্য অন্য জায়গা খুঁজে নিতে হবে সোজা ভাষায়।
আরও পড়ুন - ওভালে ভারতের দুর্ধর্ষ জয়ে ভাষা হারালেন ‘ডিকশনারি’ শশী থারুরও, চাইলেন ক্ষমা
কী বলছেন মেয়র
মেয়রের কথায়, তিনি সব নন। তাঁর উপরে রয়েছে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। তিনিই সব পরিচালনা করছেন। তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী সব হচ্ছে। নিয়মের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, মানুষ বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন এই নিয়ম। এর অন্তনির্হিত অর্থ তারা বুঝতে পেরেছেন। মেয়রের এই রসিকতা খোলা মনেই নিয়েছেন সকলে।
আরও পড়ুন - পিগমেন্টেশন দূর হবে নিমেষে! লিকোরিস ফেসপ্যাক লাগান এইভাবে, কীভাবে বানাবেন?
কেমন শহর লানজারন?
তবে উদ্ভট এই নিয়ম বাদ দিলে লানজারন বেশ সুন্দর একটি শহর। সব মিলিয়ে এখানে প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দা বাস করেন। এটি খনিজ সমৃদ্ধ ঝর্ণার জন্য পরিচিত, যা এটিকে একটি জনপ্রিয় সুস্থতার গন্তব্য করে তুলেছে। সম্প্রতি, এটি টিকটকে জেন জি ভ্রমণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। স্পেনের বার্সেলোনা এবং মায়োর্কার মতো জনবহুল পর্যটন স্থানের বিকল্প বদলে অনেকেই ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এই শহরকে।