দিল্লির পর কলকাতাতেও হদিস মিলল বিভাসের ‘ডেরার’। বেলেঘাটা থানার কাছেই খোঁজ পাওয়া গেল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে অফিসটির। কীভাবে আসল থানার এত কাছে একটি নকল থানা তাদের জালিয়াতির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
আসত নীলবাতি লাগানো গাড়ি
প্রসঙ্গত, রবিবার দিল্লির গৌতম বুদ্ধ নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের বাসিন্দা বিভাস অধিকারী ও তাঁর ছেলে-সহ মোট ছয়জনকে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ পেয়েই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর সোমবারই জানা গেল বেলেঘাটা থানার কাছেই আরেকটি ভুয়ো থানা ছিল তাঁদের। শুধু তাই নয়, সেখানে নিয়মিত আসত নীল বাতি লাগানো গাড়ি।
আরও পড়ুন - ‘BJP-র সঙ্গে আতাঁত...’ রাহুলের ‘ভোট চুরি’ নিয়ে মুখ খোলায় মন্ত্রীত্ব গেল রাজন্যর
কী বলছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, মাসখানেক আগেও এলাকার ওই বাড়ির নিচটি ছিল তাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা। কিন্তু কিছু দিন আগে সেখানে আড্ডা বন্ধ করার নির্দেশ আসে। তার পর দেখা যায় একটা অফিস খোলা হয়েছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অফিস হলেও আদতে যারা ফাঁদে পড়তেন, তাদের কাছে সেটি ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’। সেখানেই নাকি ভিড় লেগে থাকত লোকজনের। বড় বড় গাড়ি আসত। কখনও কখনও বা নীল বাতি গাড়়ি!
আরও পড়ুন - তথ্যের বদলে হুমকির অভিযোগ! উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সভাপতির বিরুদ্ধে সরব গবেষক
আসল থানার কাছেই নকল থানা
স্থানীয় এক ব্যক্তির কথায়, বাড়ির সামনে সশস্ত্র প্রহরা থাকত। পরশু রাতে হঠাৎ করেই দেখা যায় বোর্ড খুলে ফেলা হচ্ছে। ঘরও ফাঁকা। তার পরই রবিবার জানাজানি সেখানে আদতে এমন একটি জালিয়াতির ব্যবসা চালানো হত।
বেনামি সম্পত্তি, বিঘার পর বিঘা জমি
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীর নাম এর আগে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত বিভাসের গ্রামে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। রয়েছে বেনামি সম্পত্তি। বীরভূমের নলহাটি-২ ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুরে তাঁর বাড়ি ‘রাজপাট’। অন্যদিকে সিউড়িতে তৈরি হচ্ছে একটি আয়ুর্বেদিক কলেজ যার ট্রাস্টির চেয়ারম্যানও তিনি।