কলকাতার বালিগঞ্জের এক অভিজাত আবাসন পড়ে প্রথমে আহত ও পরে মৃত্যু হল কলকাতা হাইকোর্টের এক পরিচিত আইনজীবীর। শনিবার বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যু হয় আইনজীবীর। তাঁর নাম কৌস্তুভচন্দ্র দাস। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চারতলার ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে থাকা গ্রিলের ছোট জানলাটি খুলে সেখানে বসার সময় দুর্ঘটনাবশত নিচে পড়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: আড়শায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু যুবকের, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৌস্তুভচন্দ্র দাস কলকাতা হাইকোর্টের একজন সুপরিচিত আইনজীবী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং বেশিরভাগ সময় শয্যাশায়ী ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিয়মিত আদালতে যেতে পারছিলেন না। আর সেই সুযোগে কিছু জুনিয়র আইনজীবী তার মামলাগুলো নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। এই মানসিক চাপও তাঁর উপর ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, তিনি চারতলার ফ্ল্যাটের ব্যালকনির জানলাটি খুলে সেখানে বসতে যান। সেই সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রিলের জানলাটি সাধারণত তালাবদ্ধ থাকলেও ঘটনার সময় তা খোলা ছিল। তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে পড়ে যাওয়ার সময় ওই জানলাটির খোলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশের প্রাথমিক দাবি, এটি কোনও আত্মঘাতী ঘটনা নয়, বরং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হতে পারে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি পুলিশের। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দল পুরো ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের বয়ানও সংগ্রহ করা হচ্ছে।পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতের স্ত্রী ও দুই সন্তান ঘটনার সময় অন্য ঘরে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী মহলে শোকের ছায়া নেমেছে। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।