রেললাইনের উপর পড়ে রয়েছে একের পর এক দেহ। মোট তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুরি-চাণ্ডিল শাখার সুইসা স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলাসহ দুই নাবালিকার এই দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জিআরপি ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনজনকে কি খুন করে তাদের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ২২দিন নিখোঁজ যুবক, জঙ্গল থেকে মিলল বস্তাবন্দি দেহ
কীভাবে ওই দেহগুলি রেললাইনে এল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এই নিয়ে বিভিন্ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে রেল ও জেলা পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে, অন্যত্র খুনের পর দেহগুলি রেললাইনে ফেলে দেওয়া হতে পারে। তাই এটি হত্যা বা অন্য কোনও অপরাধমূলক ঘটনা কিনা তদন্তের জন্য পুলিশ কুকুরও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেহগুলির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সুইসা স্টেশনের আশপাশের এলাকা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এখানে মাঝে মাঝে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রেললাইনে এমন ঘটনা ঘটায় সকলেই আতঙ্কিত। এখানে নিয়মিত পুলিশি নজরদারি বাড়ানো উচিত। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এখন ঘটনার পেছনে থাকা রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। তবে কীভাবে এল মৃতদেহগুলি? এটি কোনও নির্মম হত্যাকাণ্ড, দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।