কর্ণাটকের সমবায় মন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কেএন রাজন্য সোমবার তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। ভোটার তালিকার অনিয়মের অভিযোগের কয়েক ঘন্টা পরেই দলের ভেতরে রাজনৈতিক ঝড় ওঠে। রাজন্য আগে বক্তব্য রেখে স্বীকার করেছেন যে ভোটার তালিকার অসঙ্গতি, যাকে রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা আসনে "ভোট চুরি" বলে বর্ণনা করেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ঘটেছিল।
তার অকপট স্বীকারোক্তি দলের বর্তমান অবস্থানের সাথে বিরোধমূলক। পাশাপাশি তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। রাজন্য বলেন "ভোটার তালিকা কখন তৈরি করা হয়েছিল? এটা আমাদের সরকারের আমলে ছিল। সেই সময়, সবাই কি চোখ বন্ধ করে চুপ করে বসে ছিল?" পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে এই ধরনের বিষয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য অস্বস্তিকর সত্যের দরজা খুলে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, "এই অনিয়মগুলি ঘটেছিল, এটাই সত্য। এগুলি আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছিল এবং আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। আমরা তখন কোনও পদক্ষেপ নিইনি এবং ভবিষ্যতে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।" তিনি জোর দিয়ে বলেন যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলে নেতাদের সময়োপযোগী আপত্তি তোলার দায়িত্ব ছিল, পরে নীরব থাকা এবং সমস্যা উত্থাপন করার চেয়ে।
রাজন্য স্বীকার করেছেন যে মহাদেবপুরাতেও নির্বাচনী জালিয়াতি হয়েছে, যে এলাকাটি রাহুল গান্ধী ৭ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কেন কোনও আপত্তি দায়ের করা হয়নি তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যখন খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তখন আপত্তি জানানো আমাদের দায়িত্ব ছিল। তখন আমরা চুপ করে ছিলাম এবং এখন আমরা কথা বলছি।" গান্ধীর দাবি নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে এই বিতর্কের সূত্রপাত। সোমবারের শুরুতে, শিবকুমার কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ জারি করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন, যেখানে তিনি তার অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ জমা দিতে বলেছিলেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।