'সহানুভূতি আদায়ের জন্য ওভার অ্যাক্টিং করছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।' ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সোমবার বিরোধী সাংসদের প্রতিবাদী পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিল্লি।দিল্লি পুলিশের তরফে আটক করা হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে -সহ ১০০-এর বেশি সাংসদকে। এরপরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মান্ডির সাংসদ।
কঙ্গনা রানাউতের প্রতিক্রিয়া
সোমবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা রানাউত বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধী-সহ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের আটক করেছে। এরপরেই রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'সহানুভূতি আদায়ের জন্য ওভার অ্যাক্টিং করছেন।' তবে এই প্রথম নয়, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার নিজের বাক্যবাণে বিঁধেছেন কঙ্গনা রানাউত।এর আগে রাহুল গান্ধীর বিকৃত ছবি শেয়ার করে বড় অঙ্কের মানহানি মামলায় জড়ান কঙ্গনা রানাউত। 'দাদু মুসলিম, দিদা পারসি, মা খ্রিস্টান' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। জাত তুলে ‘জগাখিচুড়ি’ও বলেছিলেন। সেই সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন ছবিটি। তাতেই অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী নরেন্দ্র মিশ্র।
নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযান
বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, তা অনুমান করে কমিশনের তরফে বিরোধী শিবিরকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, এই ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কমিশন। সেক্ষেত্রে ৩০ জন প্রতিনিধির নাম পাঠাতে বলা হয়। সময় দেওয়া হয় দুপুর ১২টা। এদিকে, বিরোধী সাংসদদের এই মিছিলের অনুমতিও দেওয়া হয়নি দিল্লি পুলিশের তরফে। এই অবস্থায় সংসদ ভবন থেকে মিছিল বের হয়। কিন্তু মিছিল কিছুটা দূর এগোতেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যে পুলিশ-বিরোধী দলের সাংসদদের ধস্তাধস্তিতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শাড়ি পরেই ব্যারিকেডের উপর চড়েন মহুয়া, সুস্মিতা-সহ তৃণমূলের সাংসদরা। ব্যারিকেড টপকে চলে আসেন সপা সাংসদ অখিলেশ যাদব, ভূপেন্দ্র যাদবরা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, নরেন্দ্র মোদী চোর হ্যায়’।অন্যদিকে, পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়তে দেখা যায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের। এরপরে তাঁদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।
রাহুল গান্ধীর বিস্ফোরক অভিযোগ
গত বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে ভোট চুরির উদাহরণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভায় এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভায় এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে।’ তাঁর কথায়, বেঙ্গালুরুর ওই লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোট। হার-জিতের ব্যবধান ছিল ৩২ হাজারের সামান্য বেশি। দাবি করা হয়েছে মহাদেবপুরা আসনে ১ লক্ষ ২৫০টি ভুয়ো ভোটার তৈরি করা হয়েছিল বিজেপিকে জেতাতে। স্বভাবতই এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তীব্র জল্পনা শুরু হয় শাসক-বিরোধী শিবিরে।