ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে গত কয়েক বছর ধরে। এদিকে, রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনার কারণ তুলে ধরে সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যার ফলে ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশের শুল্ক আরোপের বোঝা রয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ট্রাম্পের। ইতিমধ্যেই রাশিয়ায় গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেখানে তাঁর দেখা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ফোন।
ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলেছেন। রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতা, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে এই ফোনালাপ করেছেন। জেলেনস্কির জারি করা বিবৃতি অনুসারে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের অবসানের জন্য শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ভারত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে এবং এই অবস্থান ভাগ করে নিচ্ছে যে ইউক্রেন সম্পর্কিত সবকিছু ইউক্রেনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অন্যান্য ধরণগুলি ফলাফল বয়ে আনবে না।’
এর জবাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন যে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে যুদ্ধের নিরিখে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এক্স- হ্যান্ডেলে মোদী বলেন, ‘সংঘাতের দ্রুত এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান আমি জানিয়েছি। ভারত এই বিষয়ে সম্ভাব্য সকল অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পাশাপাশি ইউক্রেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ চতুর্থ বছরে পদার্পণ করায় ইউক্রেনীয় নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি যে রাশিয়ার জ্বালানি, বিশেষ করে তেল রপ্তানি সীমিত করা প্রয়োজন, যাতে এই যুদ্ধের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এর সম্ভাব্যতা এবং অর্থায়নের ক্ষমতা হ্রাস করা যায়।’ প্রসঙ্গত, রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন এই বিবৃতি এসেছে।
রাশিয়ার তেল কেনার এবং ‘যুদ্ধযন্ত্রকে জ্বালানি যোগানোর’ অভিযোগ তুলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে ভারত তার কৃষকদের স্বার্থের সাথে আপস করবে না, এমনকি যদি তা অর্থনৈতিক পরিণতির মূল্যেও আসে, তাতেও ভারত আপোসের রাস্তায় হাঁটবে না।