গরু পাচারের সন্দেহে এক বৃদ্ধসহ কয়েকজনকে মারধর এবং রাস্তার মাঝে কান ধরে হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছিল দুর্গাপুরে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিজেপির যুবনেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর পর ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোক-ওভেন থানায় মামলা দায়ের হয়। রবিবার রাতেই ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে পারিজাতকে আটক করে দুর্গাপুরে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরু পাচারের অভিযোগে বেঁধে মারধর, দুর্গাপুরের ঘটনায় ধৃত আরও ২, অধরা BJP নেতা
দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুবীর রায় জানিয়েছেন, পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁকে জেরা করা হবে। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৩১ জুলাই। কোক-ওভেন থানার ডুমুরতলা এলাকায় পারিজাত ও তাঁর অনুগামীরা বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া থেকে আসা গরু বোঝাই একটি ছোট ট্রাক আটক করেন। ট্রাকটিতে মোট ১৪টি গরু ছিল। পারিজাত ও তাঁর দলের অভিযোগ, গরুগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাকে থাকা কয়েকজনের হাত ও গলা দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। এমনকি বৃদ্ধদেরও কান ধরে রাস্তায় হাঁটানো হয়। যদিও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছিলেন তাঁদের কাছে গরু কেনার নথি ছিল তার পরেও তাঁদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনার ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাজ্যব্যাপী কড়া সমালোচনা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, গরু ব্যবসায়ীসহ তাঁদের কাছ থেকে টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হয় এবং গরুগুলোর মুক্তিও দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পক্ষ থেকেও কোক-ওভেন থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।এদিকে, এর আগে এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার মাধ্যমে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, আইন নিজের হাতে নেওয়া কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।