‘বাংলাদেশি ভাষা’ বিতর্কে আরও সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এই ইস্যুকে আরও জোরদার করতে চাইছে শাসকদল। এবার সরাসরি মহিলা ভোটব্যাঙ্কের দিকে নজর দিল তৃণমূল কংগ্রেস। নারী ভোটারদের টানতে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে রাজ্য জুড়ে ধারাবাহিক কর্মিসভার কর্মসূচি শুরু হল। রবিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন থেকে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। (আরও পড়ুন: বিরোধীদের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার, অজ্ঞান TMC MP, ব্যারিকেড টপকালেন মহুয়া, আটক রাহুল)
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষাকে ‘অপমান’, অভিনব প্রতিবাদ, BJP-র রাজ্য দফতরে বর্ণপরিচয় পাঠাল SFI
এদিনের মঞ্চে ছিলেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও হরেরাম সিং, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি এবং মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। শুরুতেই উপস্থিত কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নেন। অসীমা চক্রবর্তী সভার সূচনা বক্তব্যে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিযোগ করেন, বাংলা ও বাঙালির উপর ধারাবাহিকভাবে অপমান চলছে। জেলা ও রাজ্যের নেতারাও সেই সুরে যোগ দিয়ে দাবি করেন, মহিলারাই বাংলার ভোটের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেন এবং তৃণমূল সরকার বিগত সময়ে তাঁদের জন্য নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। (আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি, তবে কোনওমতেই দেশে ফিরতে চান না সেই অনুপ্রবেশকারী)
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যে বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও মর্যাদা তুলে ধরে বলেন, বিজেপি নেতৃত্ব বারবার বাংলাভাষা ও বাংলাভাষীদের অপমান করেছে। তিনি উপস্থিত কর্মীদের নির্দেশ দেন, নিজের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বিষয় তুলে ধরতে এবং নারী ভোটারদের সংগঠিত করতে। আসানসোল থেকে শুরু হওয়া এই প্রচার এখন একে একে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। তৃণমূলের লক্ষ্য ভাষা-আবেগ ও মহিলা ভোটব্যাঙ্ক, দুই শক্তিকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে এগিয়ে থাকা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের লোধী কলোনি থানার পুলিশ বঙ্গভবনে একটি চিঠি পাঠায়। তাতেই বাংলাকে বাংলাদেশি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর তারপরে শুরু হয় বিতর্ক। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনার পর তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধীরাও এর সমালোচনা করেন। এবার সেই ইস্যুকে ভোটের কাজে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল।