রোজভ্যালিকাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বে একটি কমিটি। তার নাম অ্যাসেটস ডিসপোজাল কমিটি (এডিসি)। কিন্তু, এই কমিটির কাজ নিয়ে উঠল গুরুতর অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে নামছে সিবিআই। আদালতের গড়া একটি কমিটির বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলছেন আইনজীবীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: রোজভ্যালির বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর, ফেরানো হবে ৩৩২ কোটিরও বেশি টাকা!
শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আমানতকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে অন্যত্র গিয়েছে? বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি পরিচালনায় বাইরের সংস্থা ও ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হল? এসব নিয়ে সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে। ২১ অগস্টের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতে পেশ হওয়া নথি থেকে জানা যায়, ৩০ জুন আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা সেদিনই এডিসির অ্যাকাউন্টে যায় এবং পরে প্রায় ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয় চেয়ারপার্সন শেঠের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। প্রশ্ন উঠেছে, রোজভ্যালি সংস্থা ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ লক্ষ টাকা পাওয়া সত্ত্বেও এত বড় অঙ্কের অর্থ কেন স্থানান্তরিত হল।
আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল রোজভ্যালির প্রায় ৪৪ কোটি টাকার একটি হোটেল মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা বার্ষিক ভাড়ায় লিজ দেওয়া হয়েছে এক সংস্থাকে। অভিযোগ, সেই লিজ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল এডিসি নিযুক্ত অপর একটি বেসরকারি সংস্থা। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, এডিসি আদালতের নির্দেশে গঠিত হওয়ায় তাদের কার্যকলাপের দায় আদালতেরও উপর পড়তে পারে। তাই সমস্ত অভিযোগের সুনির্দিষ্ট জবাব নতুন করে হলফনামায় দিতে হবে কমিটিকে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে হাইকোর্ট।