শিশুদের শাসন শেখানো প্রতিটি অভিভাবকের দায়িত্ব, তবে এর জন্য তিরস্কার, মারধর বা চিৎকার করার প্রয়োজন নেই। আসলে, এই পদ্ধতিগুলি শিশুদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যার কারণে তাদের আচরণ উন্নতির পরিবর্তে আরও খারাপ হতে পারে। অভিভাবকত্ব বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে ভালো অভ্যাসগুলিও শিশুদের ভালোবাসা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শেখানো যেতে পারে। যখন শিশুকে ভালোবাসা এবং ইতিবাচকতার সাথে জিনিসগুলি ব্যাখ্যা করা হয়, তখন কোনও জোর ছাড়াই শিশু নিজেই সঠিক পথ বেছে নেয় এবং শৃঙ্খলায় থাকতে শেখে। অভিভাবকত্ব বিশেষজ্ঞ শ্বেতার মতে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তিরস্কার ছাড়াই শিশুদের শৃঙ্খলায় থাকতে শেখানো যায়।
'ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি' কৌশল অবলম্বন করুন। শিশু যখন কিছু ভালো কাজ করে, যেমন সময়মতো হোমওয়ার্ক করা, কাউকে সাহায্য করা বা মিথ্যা না বলা, তখন অবশ্যই তার প্রশংসা করুন। 'তুমি খুব ভালো কাজ করেছ', 'আমি তোমার জন্য গর্বিত' এর মতো ছোট ছোট শব্দ শিশুদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। অভিভাবকত্ব বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে শিশুরা একই আচরণ পুনরাবৃত্তি করে যা তাদের ভালোবাসা এবং প্রশংসা পায়। তাই শিশু যখন কোনও ভালো কাজ করে, তখন তা উপেক্ষা করবেন না, বরং অবিলম্বে ইতিবাচক মনোযোগ দিন। তাদের বোঝার সুযোগ দিন, জোর করবেন না।
বাচ্চাদের নিজেরাই জিনিসগুলি বোঝার সুযোগ দিন। উদাহরণস্বরূপ, যদি বাইরে ঠান্ডা থাকে এবং শিশু সোয়েটার পরতে না চায়, তাহলে জোর করার পরিবর্তে তাদের ভালোবাসার সাথে বলুন, 'বাইরে খুব ঠান্ডা, এখন তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত নাও যে সোয়েটার পরবে কি পরবে না'। এটি শিশুদের তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে এবং দায়িত্ব বুঝতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে এইভাবে শিশুরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে শেখে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
'পুনঃনির্দেশনা' দিয়ে শিশুদের মনোযোগ পরিবর্তন করুন। যদি আপনার শিশু কিছু দুষ্টুমি করে বা রাগ দেখায়, তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে, তার মনোযোগ অন্য কোনও সৃজনশীল কার্যকলাপের দিকে সরিয়ে দিন। আপনি তাকে ছবি আঁকা, ছবি আঁকা বা ব্লক নিয়ে খেলার বিকল্প দিতে পারেন। এতে শিশুর আচরণ পরিবর্তন হয় এবং সে ধীরে ধীরে আরও ভালো বিকল্প বেছে নিতে শেখে। শ্বেতা বলেন যে নেতিবাচক আচরণ থেকে ইতিবাচক কার্যকলাপের দিকে শিশুদের মনোযোগ সরিয়ে, শিশুরা বুঝতে পারে কোন আচরণ সঠিক এবং কোনটি ভুল।
'টাইম আউট' নয়, 'টাইম ইন' ব্যবহার করুন। যখন শিশু বারবার খারাপ আচরণ করে, তখন তাকে একা ছেড়ে না দিয়ে তার আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞ শ্বেতার মতে, যখন আপনার সন্তান আপনার ইচ্ছা সত্ত্বেও বারবার খারাপ আচরণ করে, তখন তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে তার আচরণের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। এমন পরিস্থিতিতে, বাচ্চাদের আপনার কাছে বসিয়ে তাদের সাথে প্রেমের সাথে কথা বলুন। এতে শিশু তার আবেগ বুঝতে পারবে এবং একই সাথে সে আপনাকে একজন সহায়ক অভিভাবক হিসেবেও দেখতে পাবে। অভিভাবকত্ব বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে 'সময় কাটানো' শিশুদের মানসিক নিরাপত্তা দেয়, যা তাদের আচরণ উন্নত করার একটি কার্যকর উপায়। স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ সীমানা নির্ধারণ করুন অভিভাবকত্ব বিশেষজ্ঞ শ্বেতার মতে,
শিশুদের জন্য স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ সীমানা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একদিন আপনার সন্তানকে চকলেট দিতে অস্বীকার করেন এবং পরের দিন তাকে দেন, তাহলে শিশু বিভ্রান্ত হবে। অতএব, আপনি শিশুদের জন্য যে সীমানাই নির্ধারণ করুন না কেন, সর্বদা তা অনুসরণ করুন। শিশুকে স্পষ্টভাবে জানা উচিত যে নিয়মগুলি কী এবং সেই নিয়মগুলি প্রতিবার অনুসরণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞ শ্বেতা বলেন যে যখন বাবা-মা নিজেই নিয়ম সম্পর্কে স্পষ্ট হন, তখন শিশুরাও সেগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে শেখে। এই অভ্যাস শিশুদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিয়ে আসে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।