স্বামী অক্ষয় কুমার ব্যস্ত থাকেন। তাই দুই ছেলে-মেয়ে আরভ ও নিতারার সঙ্গে সবথেকে বেশি সময় কাটে অক্ষয়পত্নী টুইঙ্কল খান্নার। অক্ষয়-টুইঙ্কেলের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে -ছেলে আরভ এবং মেয়ে নিতারা। মঙ্গলবার, টুইঙ্কল খান্না নিজের ইনস্টাগ্রাম রিলসে ১১ বছর বয়সী নিতারার সঙ্গে কাটানো সুন্দর একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে মেকআপ করে মায়ের মেকওভার করতে দেখা গিয়েছে বছর ১১-র নিতারাকে।
উইকএন্ডে মেকওভার
টুইঙ্কল খান্নার শেয়ার করা ভিডিয়োতে তিনি তখন মেকআপ চেয়ারে বসে বই পড়ছিলেন এবং ঘরে কারও সঙ্গে গল্প করছিলেন। আর তখনই মায়ের 'মেকওভার' করা শুরু করে ছোট্ট নিতারা। এর আগে নিতারা যখন শেষবার মা টুইঙ্কলের মেকআপ করেছিল তখন সেটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। তবে এবার সেটা ঘটেনি। নিতারা এবার তার মায়ের ন্যূনতম মেকআপই করেছিলেন। তবে টুইঙ্কল সেটার সঙ্গে নিজস্ব মজাদার স্টাইলে নিজের পুরনো একটা গ্ল্যামারাস ছবি জুড়ে সেটাকে দারুণ একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। সব শেষে মজা করে লেখেন 'মেকওভার' এর ফলাফলটি 'ওয়াও' ছিল।
মেকআপ করার ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশনে টুইঙ্কল লেখেন, ‘এটা উইকএন্ডে মেকওভার ছিল। আমি মনে করি ভবিষ্যতে সেলিব্রিটি মেকআপ আর্টিস্ট হতে চলেছে নিতারা (ভিডিয়োটি সেলিব্রিটি মেকআপ আর্টিস্ট নম্রতা সোনিকে ট্যাগও করেছেন টুইঙ্কল)।' পরে ফের লিখেছেন কখনও নিজের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো অনেক মজার ও সুন্দর বিষয় হয়ে উঠতে পারে। আপনার বাচ্চা এমন কিছু করে বসতে পারে, যার ফলে আপনি জোরে জোরে হাসতেও বাধ্য হতে পারেন।'
প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কেলের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রসংসায় পঞ্চমুখ হন অক্ষয় কুমার। অক্ষয় প্রশংসা করে বলেন, ‘টুইঙ্কল ৫০ বছর বয়সেও ও পড়াশোনা করতে চায়। ও মাস্টার্স শেষ করে PhD করছে। আমি এটা ভেবে অবাক হই যে আমার স্ত্রী আজও কীভাবে জীবনকে দেখে! আমি শ্যুটে গেলে ওই আরভ ও নিতারার যত্ন নেয়। আমি কায়িক শ্রম করি। আর ও বুদ্ধিমতী। নিতারাও দেখি ওর মতো বুদ্ধিমত্তা পেয়েছে।’
২০২২ সালে, টুইঙ্কল খান্না লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ডস্মিথসে ফিকশন রাইটিংয়ে স্নাতকোত্তর করতে গিয়েছিলেন। তিনি সম্প্রতি সেই ডিগ্রি শেষ করেছেন। ২০১৫ সালে, টুইঙ্কল-এর প্রথম নন-ফিকশন বই ‘মিসেস ফানিবোনস’ মুক্তি পেয়েছিল।