নিজের লেখার মাধ্যমে জাদু তৈরি করেন টুইঙ্কল খান্না। সম্প্রতি নিজের কলামে কলম ধরলেন বার্ধক্য নিয়ে। ৫০-এ পা দিতে চলা তাঁর মধ্যে তৈরি করেছিল উদ্বেগ। অক্ষয়-পত্নী মনে করেন, ‘মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স হচ্ছে মেনে নেওয়াটা একটু বেশিই কঠিন।’
টুইঙ্কল লিখলেন, নিয়মত রক্ত পরীক্ষায় তাঁর শরীরের টেস্টাস্টেরনের রিপোর্ট শূন্যে নেমে যাওয়া তাঁকে অবাক করেছিল। তিনি লিখলেন, ‘একটা সময়ে আমার শরীরে ছিল উট্টমাত্রার টেস্টাস্টেরন। আমি তো রসিকতা করে এমনও বলতাম, অনেক পুরুষের থেকে আমি বেশি পুরুষ। তবে এখন ধীরে ধীরে শক্তি কমে আসছে, আর রসিকতাও।’
টুইঙ্কল তাঁর কলমে আরও লিখেছেন, ‘পুরুষদের থেকে মহিলাদের পক্ষে এই বয়স হওয়ার ব্যাপারটা বেশ কঠিন। কারণ আর যাই হোক পুরুষদের বয়স অন্তত তাঁদের টানটান ত্বক আর পাউটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।’ কলমের এই অংশটি টুইঙ্কল ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করে নিয়েছেন।
অভিনয় ছেড়ে আপাতত লেখিকা হিসেবেই কেরিয়ার গড়েছেন টুইঙ্কল। প্রকাশ্যে নিজের অভিনয় নিয়ে মস্করায় সামিল হতে দেখা যায় তাঁকে। টুইঙ্কল সম্প্রতি তার নতুন বই ওয়েলকাম টু প্যারাডাইস ঘোষণা করেছেন। ফিকশন রাইটিংয়ে সম্প্রতি স্নাতোকত্তর ডিগ্রি লাভ করেন টুইঙ্কল। ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে করেছেন নিজের কোর্স।
মাস্টার ডিগ্রি পাস করার খবর দিয়ে টুইঙ্কল মাসখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'এটা আমার জন্য একটা বড় বিষয়। প্রথমে একটু লজ্জা লজ্জা লাগছিল খবরটা দিতে। কিন্তু এটা প্রমাণ হল যে বয়স কেবল একটা সংখ্যা, এ সেটা কোনও ভাবেই তোমার লক্ষ্য থেকে তোমায় সরাতে পারে না।'
আর বউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অক্ষয় লিখেছিলেন, ‘মাস্টার ডিগ্রি লাভ করল, দুর্দান্ত সাফল্য। টিনা আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত। তবে সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন হল, তুমি কবে বাড়ি ফিরছো?’
রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কল। বরসাত, বাদশা, ইন্টারন্যাশন্যাল খিলাড়ি থেকে মেলার মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মেলা ফ্লপ করার পর নাকি তিনি শর্তে হেরে বিয়ে করেন অক্ষয়কে। আর বিয়ে করতেই অভিনয়ে ইতি। নায়িকা হতে যে মন চাইত না তা স্পষ্ট করেছেন আগেই। এখন বরং লেখালিখির মাধ্যমে নতুন করে ভক্ত বানিয়েছেন, তা বয়স যাই হোক না কেন!