বাংলা বিনোদন জগতের অতি পরিচিত মুখ রূপাঞ্জনা মিত্র। এখন দর্শক তাঁকে চেনে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে মমতাময়ী শাশুড়িমা হিসাবে। অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্য সেনগুপ্তর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। দেখতে দেখতে কেরিয়ারে ২৩ বছর পার করে ফেলেছেন রূপাঞ্জনা। ২০০০ সালে ‘চোখের বালি’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু হয়েছিল সফর, তারপর লম্বা পথ পেরিয়েছেন। এই সফরে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষীও থেকেছেন। আচমকাই তাঁর উপলব্ধি পালটে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি।
কেন হঠাৎ ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন নিয়ে কথা তাঁর মুখে? আসলে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এখন নানান অভিযোগ বিরোধী শিবির ঘনিষ্ঠদের। কিন্তু রূপাঞ্জনা কন্ঠে একদম অন্যসুর। তাঁর মতে, ইন্ডাস্ট্রির এই পরিবর্তন মোটেও নেতিবাচক নয়, বরং ইতিবাচক। রূপাঞ্জনার কথায়, ‘আমাদের এই ফিল্মি জগতে এক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশি দয়ালু’। ২০১৯ সালে হাওয়া বদলের সময় দিল্লিতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন রূপাঞ্জনা মিত্র। একই দিনে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা রুদ্রনীলও। ভোটের পর একে একে দল ছেড়েন তনুশ্রী, কাঞ্চনারা। শ্রাবন্তী-যশ-পার্ণোরাও বিজেপিতে আছেন কিনা তা দলই জানে না বলে নিন্দকদের মত। রূপাঞ্জনার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিজেপির?
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রুদ্রনীল বারংবার অভিযোগ করে এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাচ্ছেন না তিনি। যদিও রূপাঞ্জনার গলায় অন্য সুর। তবে কি পরোক্ষে রুদ্রনীলকেই বিঁধলেন রূপাঞ্জনা? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি দীপার শাশুড়ি মা।
যদিও মাস কয়েক আগেই আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন (মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরাম) নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন প্রাক্তন সদস্য রূপাঞ্জনা ওরফে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য। তিনি বলেছিলেন ‘শিল্পীদের হিতে কাজ করে না আর্টিস্ট ফোরাম’। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রীকে পালটা একহাত নেয় সংগঠন। ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ক্ষমা চেয়ে নেন রূপঞ্জনা, মিটমাট হয়ে যায় দু-পক্ষের।
ব্যক্তিগত জীবনে আপতত দুর্দান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বাগদানের ঘোষণা সেরেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর হবু বর রাতুল মুখোপাধ্যায়ও এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ। ৮ বছরের ছেলে রিয়ানকে সাক্ষী রেখে আংটি বদল সেরেছিলেন পর্দার লাবণ্য, এবার মালাবদলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে বছর শেষেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রূপাঞ্জনা মিত্র।