মা অন্ত প্রাণ কোন গোপনে মন ভেসেছে অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। আর তাই মায়ের জন্মদিনে বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে না তা কখনো হয়! একটি পোস্ট শেয়ার করলেন শ্বেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা গেল খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বাড়ি। কেক কাটলেন শ্বেতার মা। মাকে আদরে ভরালেন অভিনেত্রী ।
শ্বেতার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেল, খাটে পাতা হয়েছে সাদা রঙের চাদর। খাটের পিছনটা সাজানো হয়েছে বেলুন দিয়ে। বয়স হয়েছে ৬০, একটা ৬০ লেখা বেলুন তাই ঝোলানো। খাটের উপর রাখা ২টি কেক। প্রথমে দেখা গেল, শ্বেতা কেক কেটে তা তুলে দিচ্ছে মায়ের মুখে। শ্বেতার মা-ও মেয়ের মুখে তুলে দিলেন এক টুকরো কেক। মা-মেয়ের আদুরে মুহূর্তও ধরা পড়ল। একটি ছবিতে রুবেলকে শাশুড়ির হাত থেকে কেক খেতে দেখা গেল।
ছবি-ভিডিয়োগুলি শেয়ার করে শ্বেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন মা। আরও অনেকগুলো জন্মদিন এভাবেই পালন করো। খুব ভালো থেকো মা। সুস্থ থাকো, আর এরকমই হাসিখুশি থেকো। তোমাকে ঘিরে বাঁচি মা।’
অনেক কঠিন লড়াই পেরিয়ে এসেছেন শ্বেতা। একসময় দু বেলা অন্ন সংস্থানের নিশ্চয়তাটুকুও ছিল না। যদিও বর্তমানে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করেছেন টলিউডে। ছোট পর্দার পাশাপাশি কাজ করছেন বড় পর্দা, ওয়েব সিরিজেও। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও বাবা-মাকে খুশি রাখার কোনো সুযোগই ছাড়েন না।
একবার দিদি নম্বর ১-এ এসে অতীতের লড়াই তুলে ধরেছিলেন। শ্বেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বাবা-মা আমার জন্য প্রচুর করেছেন। বাবাকে কোনও দিন পুজোতে একটা শার্ট বা জিন্স কিনতে দেখিনি। মাকে শাড়ি কিনতে দেখিনি। ওঁদের জন্মদিন কবে জানি না। কারণ কখনও উদযাপনই করা হয়নি।’
‘বাবা নিজের ছেঁড়া শার্ট রিপু করে পরতেন। আর আমার যদি কোনও কিছু পছন্দ হত, সেটা ঠিক কিনে দিতেন। যদি জানতে চাওয়া হয়, আমার বাবা আমার কাছে কী? আমি বলব, আমার বাবা আমার ভগবান। আমার পৃথিবী। ওঁদের ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।’, বলেছিলেন আরও।
'সিঁদুর খেলা', 'জরোয়ার ঝুমকো', 'যমুনা ঢাকি'র মতো ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকে।