তিনি স্বস্তিকা। বলা যেতে পারে নামই কাফি হ্য়ায়। অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর নাম আলাদা করে জানানোর কিছুই নেই। তবে অভিনেত্রী স্বস্তিকাকে চেনানোর প্রয়োজন না হলেও, তাঁর একটা নাম হয়ত সত্যিই অনেকে জানেন না। যে নামটি নিয়ে নিজেই সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
কী সেই নাম?
‘ভেবলি’। হ্যাঁ, এমনই একটা সুন্দর ডাক নাম রয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। যে নাম ধরে স্বস্তিকাকে ডাকতেন তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়। তবে স্বস্তিকার বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় আর নেই, তবে সেই ডাক আবারও একবার তাঁকে বাবার স্থানীয় কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর ইনি আর কেউ নন অভিনেতা দীপঙ্কর দে। 'বিজয়ার পরে' ছবিতে দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে কাজ করেছেন স্বস্তিকা। সম্প্রতি সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপঙ্কর দে-কে নিয়ে কথা বলেছেন স্বস্তিকা। তিনি বলেন, ‘দীপঙ্কর জ্যেঠুকে দেখলে আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। বয়স হলে আমার বাবা-মায়েদের যেন একইরকম দেখতে হয়ে যায়। KIFF-এ যখন টিটো জ্যেঠুর সঙ্গে দেখা হল, বলল, কীরে ভেবলি কী করছিস? এই রকম মামুষ এখন আর নেই বললেই চলে। ওই প্রজন্মের সবকিছুর মধ্যেই এত মায়া আর সততা। এদের পরে এসব আর কই! দীপঙ্কর জ্যেঠুর সঙ্গে এবার শবরে কাজ করেছি। তারপর কাজ করলাম বিজয়ার পরে-তে।’
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় আরও জানান, দোলনদিও মাঝেমাঝে তাঁর কাজ দেখে তাঁকে ফোন করেন। তারপর ফোনটা তাঁর দীপঙ্কর জ্যেঠুকে দেন। তবে একমাত্র শ্যুটিং ফ্লোরেই একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ হয়। স্বস্তিতার কথায়, মম পিসির (মমতা শঙ্কর) সঙ্গেও তাঁর কাজের অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম।
প্রসঙ্গত, KIFF-এ দেখানো হয় স্বস্তিকা অভিনীত 'বিজয়ার পরে' ছবিটি। যে ছবিতে মীরকে দেখা গিয়েছে স্বস্তিকার স্বামীর ভূমিকায়। যা নিয়ে বাংলার দর্শকদের মধ্যে আলাদা করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ১২ জানুয়ারি মুক্তি পাবে 'বিজয়ার পরে'। এছাড়াও স্বস্তিকার হাতে রয়েছে একাধিক বাংলা ছবি। দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'টেক্কা'তে দেখা যাবে স্বস্তিকাকে। 'শিবপুর' পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে আরও একটা ছবি 'দুর্গাপুর জংশন'-এ কাজও শেষ করেছেন স্বস্তিকা।